কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে জালে তৃণমূলের জীবন, চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha Arrested)।  আর এহেন পরিস্থিতিতে, 'তৃণমূল বিধায়কদের টার্গেট করা হচ্ছে, এটা একটা গেম প্ল্যান', বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক সংখ্যা কমানোর চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। 'এখনও পর্যন্ত তো কোনও বিজেপি নেতারা টার্গেট হননি', বিধায়ককে কিনে নিতে গেম প্ল্যান, অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী।

  


প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে টানা ৬৫ ঘণ্টা নাটকীয় টানাপোড়েনের পর, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর পর নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শাসকদলের তৃতীয় বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে।বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। এমনই দাবি সিবিআইয়ের।


কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শুধু নবম-দশম নয়, একাধিক ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের।  মুর্শিদাবাদ ছাড়াও, বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে এভাবে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের অনুমান।বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? এই প্রশ্নের উত্তর তো সিবিআই খুঁজছেই, এর পাশাপাশি উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 


জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোনেই কী লুকিয়ে আছে নিয়োগ দুর্নীতির গোপন তথ্য? তার হদিশ পেতে পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ফোন আজই পাঠানো হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। ২ দিন ধরে জলের মধ্যে পড়েছিল ফোন। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিবিআই আধিকারিকরা ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করলেও, সেটিকে এখনও পর্যন্ত খোলা সম্ভব হয়নি।


সিবিআই সূত্রে খবর, বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হওয়া ৫টি ব্য়াগে মিলেছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার নথি। সিবিআইয়ের দাবি, এই নথিগুলির মধ্যে শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, অন্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও মিলেছে। সূত্রের খবর, এই সমস্ত অভিযোগ সামনে রেখেই বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টা, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা যুক্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই। 


আরও পড়ুন, 'সংবিধান মেনেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি', শাহকে নিশানা মমতার


নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের আরও দুই বিধায়ক। গতবছরের ২৩ জুলাই, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেই প্রথম কোনও মন্ত্রী বা বিধায়কের গ্রেফতারি। এরপর ১১ অক্টোবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি।