আবীর দত্ত, সুভাষগ্রাম: দীপাবলির আগে রাজ্যে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার JMB জঙ্গি। ধৃত আব্দুল মান্নান বাংলাদেশের বাসিন্দা। গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে জাল ভোটার ও আধার কার্ড। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়েকবছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে ওই JMB জঙ্গি। বেশ কয়েকজনকে সে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দেয়। বাংলাদেশের JMB জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল ধৃতের। চলতি বছরের জুলাইয়ের গোড়ায়, হরিদেবপুর থেকে চার JMB জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।পরে এর তদন্তভার হাতে নেয় NIA। গতকাল তিনজনকে হেফাজতে নেয় তারা। ধৃতদের জেরা করেই সুভাষগ্রামে সন্ধান মেলে JMB জঙ্গির।
এর আগেও রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে ধরা পড়ে জেএমবি জঙ্গিরা। এ বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকা থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। ধৃতদের নাম নাজিউর রহমান, সাবির ও রবিউল। তারা শহরে বড় কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলে অনুমান করছে পুলিশ। ধৃত তিনজনের মধ্যে প্রধান মাথা হল নাজিউর রহমান। পূলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন জেএমবি জঙ্গি। অন্তত এমনটাই দাবি কলকাতা পুলিশের এসটিএফের।
তবে শুধুমাত্র নাজিউরই নয়, এই তিনজনের মধ্যে আরও একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে প্রচুর কাগজ ও নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রয়েছে প্রচুর বইও। সেই নথি ও বইগুলো ঘেঁটে পুলিশ দেখছে। আপাতত যে তথ্য পুলিশের কাছে উঠে আসছে, তাতে জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের মাস্টার জিয়া গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ধৃত এই তিনজন।
পুলিশ তদন্তে নেমে আরও জানতে পেরেছে যে, এই তিনজন বিগত কয়েক মাস ধরেই কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করছিল। শহরের বিভিন্ন জায়গা গা ঢাকা দিয়ে থাকত তারা। খবর পেয়ে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ধৃতরা তাদের গ্রুপে আরও নতুনদের নিয়োগও করত। নিজেদের গ্রুপ আরও বাড়ানোই লক্ষ্য ছিল এই তিনজনের।