হুগলি: কোথাও বিশাল তিনতলা বাড়ি, কোথাও আবার বিপুল আয়তনের ফ্ল্যাট। কোথাও ধাবা-হোটেল, আরেক জায়গায় রিসর্ট। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত হুগলির তৃণমূল নেতার (TMC Leader) সম্পত্তির খতিয়ান দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, হুগলি জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি। ইনি হুগলি (Hooghly) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন।
সম্পত্তির খতিয়ান:
হুগলির বলাগড়ে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একটি বাড়ি রয়েছে। তিনতলা বিলাসবহুল বাড়ি সেটি। ওই বাড়িটিতে রয়েছে ৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
ওই বাড়িটির বাইরে গ্যারেজে রয়েছে। সেখানে রয়েছে ২টি গাড়ি।
হুগলির বলাগড়ে আসাম রোডের ধারে শান্তনুর একটি ধাবার খোঁজ মিলেছে। ধাবার ভিতরে রয়েছে অত্যাধুনিক লাউঞ্জ, রয়েছে হুক্কাবারও।
ওই ধাবার উল্টোদিকেই রয়েছে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ইচ্ছেডানা গেস্ট হাউস।
হুগলিতেই রয়েছে শান্তনুর একটি রিসর্ট। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে রয়েছে ওই বিলাসবহুল রিসর্ট। সিসিটিভি ঘেরা এই রিসর্টের ভেতরে রয়েছে সুইমিং পুল। রিসর্ট থেকে লাগোয়া গঙ্গায় নামার ব্যক্তিগত সিঁড়িও রয়েছে।
হুগলির চন্দননগরে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ১৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্য়াটও রয়েছে।
ইডির দাবি, একাধিক জমি এবং দুটি বাড়ি-সহ প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে শান্তনুর।
এছাড়াও বেনামে সম্পত্তিও রয়েছে।
কী দাবি ইডির:
রিমান্ড লেটারে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সম্পত্তি নিয়ে চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছে ইডি। রিমান্ড লেটারে বলা হয়েছে, হুগলিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোটেল, ধাবা, একাধিক জমি এবং দুটি বাড়ি-সহ প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। রয়েছে বেনামে সম্পত্তিও।
নগদে কেনা সম্পত্তি:
যে সব সম্পত্তি ২০১৫ সালের পর কেনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই নগদে কেনা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটে যখন দুর্নীতি হয়, তারপরই উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পায় শান্তনুর সম্পত্তি। তার আগে তাঁর সম্পত্তি বলতে সেরকম কিছুই ছিল না। বিদ্যুৎ দফতরের সামান্য কর্মচারী ছিলেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বছরে বেতন ছিল কয়েকলক্ষ টাকা। তারপরেই রকেটগতিতে উত্থান হয় শান্তনুর। নিজের নামে বিপুল সম্পত্তি, নিজের নামে কোম্পানি। তাঁর আয়ের সঙ্গে বিপুল সম্পত্তির সঙ্গতিও পাওয়া যায়নি।
ইডির দাবি, কুন্তলের সঙ্গে জুটি বেঁধে শান্তনু বেআইনিভাবে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। শান্তনুর দুটো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি রয়েছে। একটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে কয়েকজন ভুয়ো ডিরেক্টরও রয়েছেন। ইডির অনুমান, রেস্তরাঁ ও বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।