কলকাতা: পুজোর সময় চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে (Job Seekers Agitation) অনুমতি হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। “ধর্মতলা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুলিশ আন্দোলন করতে দেবে না, এটা হয় না।’’ মন্তব্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। আগামী একমাসের জন্য আন্দোলনে অনুমতি হাইকোর্টের। রানি রাসমণি রোড নাকি গাঁধীমূর্তির পাদদেশ? কোথায় হবে আন্দোলন? পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন চাকরিপ্রার্থীরা, জানাল আদালত। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে নিয়োগ শুরু হয়নি।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে কোন নিয়োগ শুরু হয়নি। তাই অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। আদালতে দায়ের হয় মামলা। সরকারি আইনজীবীর দাবি ছিল, পুলিশ পুজোর সময় ব্যস্ত থাকে। রানি রাসমণি রোডে  একটি অবস্থান চলছে, গাঁধীমূর্তির পাদদেশে করলে বিবেচনা করা যেতে পারে। এদিন এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চাকরি ভিক্ষা করবে, আর পুজো বলে, পুলিশ তাঁদের আন্দোলন করতে দেবে না এটা হয়না। এটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। আদালত জানিয়ে আগামী একমাসের জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতলা চত্বরে শান্তিপূর্ঁ অবস্থান করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় মেনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে পারবেন।  


উৎসবের শহরে আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা: আলোর মালায় সেজে উঠেছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা। মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল। থিম থেকে প্রতিমা, আধুনিকতার সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে সাবেকিয়ানা। গত দু’ বছরের করোনা-আতঙ্ক কাটিয়ে, এবার সাড়ম্বরে মাতৃ আরাধনায় মেতেছে আপামর বাঙালি। দিকে দিকে আলোর রোশনাই। কিন্তু উৎসবের এই আলো পৌঁছচ্ছে না ধর্মতলা চত্বরে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। উৎসবের চিহ্নটুকু নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: রাজ্যের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারী