ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডেডলাইনে আশার আলো দেখছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।


ডেডলাইনে আশার আলো: যোগ্যদের নিয়োগের দাবিতে, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার উপর। যাঁদের আজ স্কুলে বসে পড়ানোর কথা, রাস্তায় বসে তাঁরা চাকরির দাবিতে চোখের জল মুছছেন। কেটেছে অনেকগুলো উৎসবের রাত। তাঁরা ভুলেছেন বাড়ির পথ। রোদ, ঝড়, জল বৃষ্টি মাথায় করেই চাকরির দাবিতে রয়েছেন পথে। একটা উৎসব পেরিয়ে এসেছে আরেকটা উৎসব। অথচ তাঁদের জীবনে আসেনি কোনও নতুন স্বপ্নের হাতছানি। আর এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আশায় বুক বেঁধেছেন তাঁরা। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "বিচারব্যবস্থার অত্যন্ত ভাল একটা দিক। এবার হয়ত শেষ হবে বিচার। ৬ মাসের মধ্যে আশা করছি মামলার নিষ্পত্তি হবে।'' আরেক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "হাইকোর্টেই এই মামলা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই ওঁরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট ফের হাইকোর্টে মামলা ফেরাল। হাইকোর্ট গোটা মামলা সম্পর্কেই ওয়াকিবহল। আদালত জানে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য। ৯৭০ দিন রাস্তায় বসে আছি। যোগ্যদের দ্রুত নিয়োগ করা হোক।''


কী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের? 


শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলার তদন্ত শেষ করতে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডেডলাইন। ২ মাসের মধ্যে সিবিআইকে (CBI) তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি-দুর্নীতি মামলাগুলি হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। SSC-র মাধ্যমে, গ্রুপ C গ্রুপ D-র কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই সব মামলায়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যে নির্দেশ দিয়েছিলেন,তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা হয়। একই সঙ্গে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলাগুলো বিচারাধীন ছিল, তা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল।           


এই মামলায়, এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ নির্দেশে এই সব মামলাই কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হল। নির্দেশে আরও বলা হয়, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করবেন। সেখানেই হবে SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি। ৬ মাসের মধ্যে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে। এরপরই, CBI-কে সময় বেঁধে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী নির্দেশে বলেন, ২ মাসের মধ্যে CBI তদন্ত শেষ করবে। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও পড়ুন: HS Exam 2024: অনলাইনে জমা দিতে উচ্চমাধ্য়মিকের প্র্যাক্টিক্যালের নম্বর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি সংসদের