কলকাতা : নিয়োগের দাবিতে (Demand of Recruitment) ফের পথে চাকরিপ্রার্থীরা । বিক্ষোভে উত্তাল করুণাময়ী । রাস্তায় নেমে ২০২২-এর টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ । আজ এপিসি ভবন অভিযানের ডাক দেন তাঁর। সেই লক্ষ্যে এসে করণাময়ী মেট্রো স্টেশনে নেমে তাঁরা ছোটাছুটি শুরু করে দেন। পরে করুণাময়ী মোড়েই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের ঠেকাতে বিশাল পুলিশের বাহিনী ও ব়্যাফ অপেক্ষা করলেও, তাদের চোখে কার্যত ধূলো দিয়ে বেরিয়ে আসেন চাকরীপ্রার্থীরা। করুণাময়ী মোড়ে বসে পড়ে নিয়োগের দাবিতে স্লোগান তোলেন। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীদের ঠেকাতে ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ। উভয় দিকের ঠেলাঠেলির মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে তোলে পুলিশ। এদিকে বিক্ষোভের জেরে যানজট সৃষ্টি হয় করুণাময়ী মোড়ে।


বিক্ষোভকারী এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "সরকার আমাদের মেরে ফেলল। এক বছর পেরিয়ে গেল এখনও পর্যন্ত আমরা ইন্টারভিউয়ের নোটিফিকেশন পাইনি। সরকার চাকরি দিচ্ছে না। এই বেকারত্বের যন্ত্রণা আমরা সহ্য করতে পারছি না। মাননীয়া, আপনার কাছে জোড় হাত করে বলছি, ইন্টারভিউয়ের নোটিফিকেশন দিয়ে আমাদের দ্রুত নিয়োগ দিন। আমার বাবা অসুস্থ। আমি এখনও পর্যন্ত বেকার।"


নিয়োগের দাবিতে চলতি মাসেই সল্টলেক ও ধর্মতলায় পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ ও আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের। ইন্টারভিউয়ের দাবিতে পথে নেমেছিলেন ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু পথেই তাদের আটকায় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে তাঁদের তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। অন্যদিকে ধর্মতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীদের। শহিদ মিনার থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় বসে পড়েন তাঁরা। পুলিশ ধর্মতলা থেকে তুলে দিতে চাইলে ওয়াই চ্যানেলের দিকে মিছিল করে যান চাকরিপ্রার্থীরা।


নিয়োগের দাবিতে গতকাল, সোমবার শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন ২০১৬ সালের আাপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। মৌলালিতে বেশ কয়েক দফা অবস্থানের পরে ধর্মতলায় দণ্ডিকেটে অভিনব প্রতিবাদ জানায় আন্দোলনকারীরা। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই আন্দোলনকারীরা। মেধাতালিকা প্রকাশের পরে প্রথম দফার কাউন্সিলিং হলেও নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন। আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীদের পাশপাশি নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি নবম থেকে দ্বাদশ চাকরিপ্রার্থীদের।