সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট: অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই একের পর এক বাড়ি। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় লক্ষাধিক। যদিও আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। শর্ট-সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ: সোমবার রাত ১১টা নাগাদ ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই একাধিক বাড়ি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক। ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার রানাঘাট পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তালপুকুর পাড়ায়। ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ৩টি বাড়ি। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে একটি ফটো ফ্রেম তৈরি কারখানা। স্থানীয়রা প্রথমে বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কোনও লাভ হয়নি। পরে আগুনের লেলিহান শিখা আরও বাড়তে থাকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যুতিক তারের সংযোগে আগুন লাগায় এলাকার কিছু বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট-সার্কিটের কারণে আগুন লাগে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়াবে বলে দাবি স্থানীয়দের। রাস্তা ছোট হওয়াতে দমকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছুটা বাধার মুখেও পড়তে হয়। ফলে সময় ব্যয় হয় অনেকটা। রেললাইন সংলগ্ন অঞ্চল হওয়ায়, রেলের তরফ থেকে সহযোগিতার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হন দমকল কর্মীরা।
এর আগে গত রবিবারের সকালে আনন্দপুরে ফর্টিস হাসপাতালের কাছে ইএম বাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে ভয়াবহ আগুন লাগে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা। দমকা হাওয়ার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। দাউদাউ করে জ্বলে যায় একাধিক ঝুপড়ি। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছিলেন স্থানীয়রাই। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একের পর এক দমকলের ইঞ্জিন। শেষমেশ দমকলের ৫টির বেশি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে ঝুপড়িবাসী বহু মানুষের যথাসর্বস্ব পুড়ে গিয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন, এবার রাজ্যকে হুঁশিয়ারি চাকরিপ্রার্থীদের