রুমা পাল, কলকাতা : গরুপাচার ( Cow smuggling Case ) মামলায় ধৃত অনুব্রত মন্ডলের ( Anubrata Mondal ) জামিনে কাঁটা সেই 'প্রভাবশালী' তকমা। বীরভূমের ( Birbhum ) তৃণমূল জেলা সভাপতি যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ, এবার খোদ বিচারপতির ( Justice Joymalya Bagchi) মুখে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ!
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি কী বললেন
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মন্ডলের জামিনের আর্জির শুনানি ছিল এদিন। শুনানি পর্বে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি বলেন, ' শুধু সাক্ষীরা নয়, বিচারকও হুমকির শিকার! ' গরু পাচার মামলায় অন্য জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত মন্ডল ( Anubrata Mondal ) অনেক বেশি প্রভাবশালী, এটা স্পষ্ট। '
এর আগে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন, গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার সহ অনেকেই জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর মক্কেলকে ৬ অক্টোবর চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে ৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। অনুব্রতর বিরুদ্ধে ED-ও প্রভাবশালী তকমা দিয়ে FIR করেছে।সাক্ষীদের প্রভাবিত করা হতে পারে, শুধুমাত্র এই অনুমানের ভিত্তিতে হাজতবাস করানো হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে। জবাবে অনুব্রতর নাম না করে বিচারপতি বলেন, যাঁরা জামিন পেয়েছেন, মামলাকারী তাঁদের থেকে অনেক বেশি প্রভাবশালী এটা স্পষ্ট।
মনোজ সানা নামে একজন অন্যতম সাক্ষী নিরুদ্দেশ?
বিচারপতি আরও বলেন, একজন বিচারক হুমকির কথা জানিয়েছেন। সিবিআই জানিয়েছে, মনোজ সানা নামে একজন অন্যতম সাক্ষী নিরুদ্দেশ। তদন্তে এই সময় সাক্ষীদের বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় বিচারক নিজেই হুমকি পেলে সেটা আদালত কীভাবে তুচ্ছ করে দেখবে? জবাবে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এসব কেস ডায়েরিতে লেখা হলেও, প্রমাণিত নয়। অনুব্রত নন, এনামুল হকই গরুপাচারের মূলচক্রী। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কিছুই প্রমাণ মেলেনি। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জামিন-আর্জির নিষ্পত্তি হয়নি এদিন। আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন :