সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা :  ফের বেপরোয়া গাড়িচালকের ( Maa Flyover Accident ) তাণ্ডব। এক সপ্তাহের মধ্যে আবার দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে। যান শাসনে পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবেই কি এত দুর্ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।


আরোহীরা সকলেই মত্ত !
জানা গিয়েছে, চালক সহ ৫ আরোহী সকলেই মত্ত ছিলেন! গুরুতর আহত যাত্রী নিজেই একথা জানিয়েছেন। সকাল ৬টা নাগাদ সল্টলেক থেকে পার্কসার্কাসগামী একটি গাড়ি লাইটপোস্টে ধাক্কা মেরে রাস্তার একপার থেকে ডিভাইডার টপকে অন্য লেনে চলে যায়। তারপর তা উড়ালপুলের দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘুরে যায় গাড়ির গতিমুখ। 

আরও পড়ুন : 


রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর এক নজরে দেখতে চোখ রাখুন...


দুর্ঘটনার কবলে পড়া যাত্রীদের কী হাল 
দুর্ঘটনায় গাড়ির এক যাত্রী গুরুতর জখম হলেও চালক সহ বাকি ৪ জন পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহত যাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সপ্তাহে এই নিয়ে  তিনটি দুর্ঘটনা ঘটল মা উড়ালপুলে। গত ১০ ডিসেম্বর এই মা উড়ালপুলেই ডিভাইডারে উঠে গিয়ে লাইট পোস্টে ধাক্কা মেরে কংক্রিটের পিলার উপড়ে দিয়েছিলেন এক বেপপরোয়া গাড়িচালক।  


মা ফ্লাইওভারে এর আগের দুর্ঘটনা 

১০ ডিসেম্বর :
বেপরোয়া গাড়ির তাণ্ডব। ডিভাইডারে উঠে গিয়ে লাইট পোস্টে ধাক্কা মারায়, সেটি কংক্রিটের পিলার সমেত উপড়ে গিয়ে উল্টোদিকের লেনে পড়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি ফেলে রেখেই সঙ্গীদের গাড়িতে উঠে চম্পট দেন গাড়ি চালক।গতকাল রাত ২টো নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।

১৪ ডিসেম্বর : বাইক চালিয়ে নিউটাউন যাচ্ছিলেন বেহালার এক বাসিন্দা। পথে আচমকা ঘুড়ির সুতোয় জড়িয়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি ব্রেক কষে নিজের শরীর থেকে আগে ঘুড়ির সুতোর ফাঁস ছাড়ান। সেক্টর ফাইভ পৌঁছে অস্বস্তি অনুভব হওয়ায় পুলিশকে জানান তিনি। ঘুড়ির সুতোয় কেটে যাওয়া মুখের পাশ থেকে ঘাড় পর্যন্ত ক্ষতস্থল ফার্স্টএইড করে দেয় পুলিশ। এর আগে একাধিকবার মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বাইক আরোহীরা।