প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: সিবিআইয়ের রিপোর্টে (CBI Report) ক্ষুব্ধ আলিপুর আদালতের বিচারক (Judge Expresses Disappointment)। 'এক প্রশ্ন, অন্য উত্তর, বোঝাই যাচ্ছে আপনাদের কাছে সদুত্তর নেই', নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য ক্ষুব্ধ বিচারকের। সঙ্গে প্রশ্ন, 'চার্জশিটে যাদের নাম, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েকজন জেলে থাকবে, কয়েকজন ঘুরে বেড়াবে?'


কেন ক্ষুব্ধ?
সমরজিৎ আচার্য, পর্ণা বসু-সহ একাধিক ব্যক্তির নাম চার্জশিট থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গ্রেফতারও করা হয়নি তাঁদের। কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি? এই মর্মে একটি রিপোর্ট এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট দেখেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আলিপুর আদালতের বিচারক। তাঁর বক্তব্য, যে প্রশ্ন করা হচ্ছে তাঁর কোনও যুৎসই উত্তর নেই, জানান বিচারক। নবম-দশম মামলায় এদিন যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়,  সেই রিপোর্ট দেখে তদন্তকারী অফিসার অংশুমান সাহাকে ডেকে নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন বিচারক। পরে প্রশ্ন তোলেন, একই চার্জশিটে নাম থাকলেও কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন, বাকিরা মুক্ত কেন? এই তফাৎ কেন করা হচ্ছে? (Recruitment scam) 

ভর্ৎসনা কুন্তল ঘোষের মামলাতেও...
একই দিনে কুন্তল ঘোষের বিতর্কিত চিঠি-মামলাতেও সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক। সিবিআই এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অগ্রাহ্য করছে, যা কাম্য নয় বলে নির্দেশনামায় জানিয়েছেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এর আগে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, এই মামলায় যৌথভাবে তদন্ত করবেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বিতর্কিত চিঠি-মামলায় সিবিআই কুন্তল ঘোষ ও তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে বিচারককে চিঠি লিখে অভিযোগ জানান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। তার প্রেক্ষিতেই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ সিবিআইয়ের ডিআইজি জয়দেবন ও ইডি-র এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, জোর করে তাঁকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ে ইডি-র পর সিবিআইও যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এবং ধৃত কুন্তল ঘোষের মধ্য়ে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। ওই মামলায় বুধবার সায়নীকে ডেকেছিল ইডি।


আরও পড়ুন:এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়ার মা-বাবা, পৌঁছলেন নবান্নে