রুমা পাল, কলকাতা: এবার নবান্নে (Nabanna) গেলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University Student Death) মৃত ছাত্রের মা-বাবা। গত ১০ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মৃত্যু হয় নদিয়ার ছাত্রের। ন্যায়বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তাঁর পরিবার। দেখা করতে পৌঁছে গেলেন নবান্নে। 



কী জানা গেল?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে যখন হইচই, তখনই ওই পড়ুয়ার পরিবারকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Mamata Banerjee) ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে না পারলেও প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে, সেই সময় ছাত্রের পরিবারকে এই আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর, যাদবপুর-কাণ্ডে একের পর এক গ্রেফতারি হয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ফের ফোন করেন মৃতের পরিবারকে।  তাঁদের আর কোনও আবেদন বা প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সে সবই জানতে চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পড়ুয়ার পরিবারকে নবান্নে আসতে বলেন। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সেই নিয়েই কথা চলছে নবান্নে। 
অন্য দিকে, পড়ুয়া-মৃত্যুর ২৫ দিনের মাথায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (JU Student Death) এল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের টিম। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছে ৪ সদস্যের ওই টিম। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের র‍্যাগিং রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ইউজিসি। 


অতীত রিপোর্ট নিয়ে...
গত ১৭ অগাস্ট ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত নিয়ে যাদবপুর যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল, তাতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ১২ দফা প্রশ্ন-সহ কড়া ইমেল করা হয়েছিল। ইউজিসি-র বিধি না মানা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মৃত্যুর আগে পড়ুয়াকে কী পদ্ধতিতে হস্টেলের রুম বরাদ্দ করা হয়েছিল? অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের নম্বর, থানার নম্বর পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল কিনা? নতুন পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কি? হস্টেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন কিনা? এই ধরনের ১২ দফায় প্রশ্নের জবাব চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইমেল করে ইউজিসি। নতুন ছাত্রদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা সার্ভে রিপোর্টও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেশের নির্দেশও দেওয়া হয়। গত অগাস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়া মিলিয়ে পর পর ১৩ জন গ্রেফতার হন। উঠে আসে একাধিক ব্যাখ্যা। হস্টেলে সিসিটিভি না থাকা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। তুমুল চাপের মুখে গত ১৭ অগাস্ট যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সিদ্ধান্ত নেন, আপাতত শুধুমাত্র গেটে, সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। রাত আটটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্য়াম্পাসে ঢুকতে হবে। 


 


আরও পড়ুন:'ভয় পাবেন না, আদালতের সাহায্য় নিন', কাদের পরামর্শ মমতার?