অমিতাভ রথ: ঝাড়গ্রাম: মাঝে কয়েক দিনের ব্যবধান ছিল। ফের কুড়মি আন্দোলনে স্তব্ধ জঙ্গলমহল। বুধবার সকাল থেকে ১২ ঘণ্টার বনধ শুরু হয়েছে। হুড়কা জ্যামে যাবতীয় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এলাকায় (Jungle Mahals)। বন্ধ গাড়ি চলাচলও। সরকারি-বেসরকারি যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে সকাল থেকে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় কুড়মি সংগঠন (Kurmi Protests)।
কুড়মি সংগঠনের ডাকে জঙ্গল মহলে ১২ ঘণ্টার বনধ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আন্দোলন কারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার,আন্দোলন কারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা,নবান্নে সরকারী ভাবে আন্দোলনকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার,কুড়মিদের তফসিলি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সিআরআই রিপোর্টের প্রয়োজনীয় জাস্টিফিকেশন-সহ একাধিক দাবিতে আজ কুড়মি সংগঠনের ডাকে জঙ্গল মহলে ১২ ঘণ্টার বনধ কর্মসূচি চলছে।
কুড়মি সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে আজ জঙ্গলমহল জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে। প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া জেলায়। জঙ্গলমহলের তিনটি জেলাতেই বেসরকারি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। কিন্তু কুড়মিরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবিদাওয়ার দাবিতেই বনধ কর্মসূচি। বিহিত না হওয়া পর্যন্ত দফায় দফায় আন্দোলন, কর্মসূচি চলবে।
এ দিন বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের বিক্রমপুরে বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন কুড়মিরা। মোটরবাইক বা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করলেও নাকাল হতে হচ্ছে। বনধের জেরে দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ। প্রভাব পড়েছে রাইপুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা এবং খাতড়া ব্লকেও। তবে বাঁকুড়া সদর এবং বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায় কুড়মিদের ডাকা বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি।
এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলায় সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই বনধ চলছে। রাস্তায় নামেনি কোনও বেসরকারি বাস। হাতেগোনা কয়েকটি সরকারি বাস চললেও, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। বাস বন্ধ থাকায় ফলে অসুবিধায় পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। দোকানপাটও বন্ধ। তবে জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, গোপীবল্লভপুরে বনধের প্রভাব পড়েনি।
অবরোধ, বনধে সকাল থেকে স্তব্ধ জঙ্গলমহল
কুড়মিদের ডাকা বনধে মিশ্র প্রভাব পড়েছে পুরুলিয়া জেলায়। পুরুলিয়া-বরাবাজার রোড অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বরাবাজারের সিন্দ্রি এলাকায় নাচ-গান করে মিছিল করেন কুড়মিরা। সরকারি বাস হাতে গোনা, বেসরকারি বাস পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।