সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: ন্যায্য ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখলেন জঙ্গলমহলে (Junglemahal) নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী। স্বামী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তাঁর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছেন ওই ব্যক্তির খুড়তুতো ভাই, দাবি অভিযোগকারিণীর। ক্ষতিপূরণ বিতর্কে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। 

  


স্ত্রীর সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন নিখোঁজের খুড়তুতো ভাই। এই অভিযোগ করে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের মোগলানিচকের বাসিন্দা আনোয়ারা বিবির দাবি, ২০১০ সালের ১৬ মে, পেশায় ফেরিওয়ালা শেখ মুন্না আলিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। স্ত্রীর অভিযোগ, স্বামী নিখোঁজ হওয়ার তাঁর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও পেয়েছেন শেখ মুন্নার খুড়তুতো ভাই রাজেশ আলি। 


কী জানিয়েছেন তিনি? 


অভিযোগকারী ও নিখোঁজের স্ত্রী আনোয়ারা বিবি বলেন, "আমার স্বামী ফেরি করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের আগে ফোনে বলেন, মাওবাদীরা আমায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও আমি সেসব পাইনি, স্বামীর খুড়তুতো ভাই পেয়েছেন।"  


আরও পড়ুন, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতের পর এবার লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ককে তলব করল সিবিআই


যদিও নিখোঁজ ব্যক্তির বাবার দাবি, আনোয়ারা বিবির সঙ্গে ২০১০ সালের ১৯ মার্চ, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে ছেলের। নিখোঁজের বাবা শেখ তৈয়ব আলি অবশ্য বলেন, "ও আমার বৌমা নয়, ওর সঙ্গে আমার ছেলের আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমিই ক্ষতিপূরণের আবেদন করি। আমার দেখাশুনো করে আমার ভাইপো।তাই তাকেই চাকরি দিতে বলি।" 


ডিভোর্সের যে নথি দেখানো হচ্ছে, তা জাল, অভিযোগ তুলে পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্ত্রী আনোয়ারা বিবি। তিনি বলেন, "জাল কাগজ দেখিয়ে বলা হচ্ছে, আমার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেছে, যা সত্যি নয়।" অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।  পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলসিহ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, "অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার তদন্ত করে দেখবেন।"