ঝিলম করঞ্জাই, রুমা পাল, কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবি। CBI-এর উপর চাপ বাড়িয়ে ফের পথে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আজ সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে CBI-এর দফতর CGO কমপ্লেক্স পর্যন্ত অভিযান করল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। সিনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি মিছিলে শামিল হন নাগরিক সমাজের সদস্যরাও।


CBI-এর উপর চাপ বাড়িয়ে ফের পথে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের আগুন। আলোর উৎসবের আগে, হাতে হাতে জ্বলে উঠল মশাল। মুখে মুখে উঠল স্লোগান। আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে ফের পথে নামল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। সল্টলেকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে CBI-এর দফতর CGO কমপ্লেক্স পর্যন্ত অভিযান করল তারা।


এ প্রসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, "এরকম একটা ভয়ানক ঘটনা। এটা একটা সাধারণ ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নয়। সেই একটা জিনিসকে সিবিআই এত ক্যাজুয়ালি কী করে ডিল করছে, এটা আমাদের খুবই উদ্বেগের-অসন্তোষের কারণ। শুধু আমাদের নয়, অভয়ার বাবা-মা...তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। তাঁরাও কিন্তু, এই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।" জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের সদস্য সায়ন মণ্ডল বলছেন, 'CBI-কে চাপে রাখতে চাইছি। কারণ CBI প্রাথমিকভাবে যে চার্জশিট প্রকাশ করেছে, সেখানে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কারও নাম নেই। যেটাকে আমরা একদমই ঠিক মনে করছি না।'


জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের অপর এক সদস্য আসফাকুল্লা নাইয়ার বক্তব্য, 'আমরা ইতিহাসে দেখেছি, অনেক ছোট ছোট আন্দোলন থেকে অনেক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পতন হয়েছে। এই আন্দোলনকে কেউ যদি গিলে খেতে চান, আমার মনে হয় হজম করতে পারবেন না।' 

সিনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি মিছিলে সামিল হন নাগরিক সমাজের সদস্যরাও। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'সিবিআইয়ের কোনও রকম হেলদোল নেই। ৩ মাস হতে চলল। সিবিআইয়ের কাছে জাস্টিসের দাবিতে আজ অভিযান।' এয়ারপোর্ট নাগরিক মঞ্চের এক সদস্য বলেন, 'অনেক দিন হয়ে গেছে। কিন্তু, সিবিআইয়ের তরফ থেকে সেরকম কোনও গতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। '

এনিয়ে পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, 'CGO অভিযান করুন, নবান্ন অভিযানটা কবে হবে? তার জন্য অপেক্ষা করছি। CGO-তে আপনি যান, আপনি একটা নবান্ন অভিযানও করুন। আর একটা সুপ্রিমকোর্ট অভিযানও করুন না, সব বিষয়টা তো সুপ্রিমকোর্টে এখন। সুপ্রিমকোর্ট অভিযানটা কবে হচ্ছে? কিছু লোকের একটা ব্যামো ধরেছে, টিভিতে থাকতেই হবে। তাঁরা এখন থাকতে পারছে না, তাঁদের বাড়ির লোকেরা, তাঁদের বন্ধু-বান্ধবীরা জিজ্ঞাসা করছে যে, তোমায় আর দেখা যাচ্ছে না কেন?'


অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'অনেক আগে সিজিওটা করা উচিত ছিল। সিজিওটা না করে কর্মবিরতি থেকে গরিব মানুষকে হেনস্থা করা, নার্সিংহোমগুলোকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়া, বা রাজ্য সরকারকে রাজনৈতিকভাবে বিড়ম্বনার ম়ঞ্চ হয়ে ওঠা...এগুলো তো অনভিপ্রেত ছিল।'

আর জি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বুধবার পথে নামে সদ্য় তৈরি হওয়া জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনও।