কলকাতা: এবার জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি দিলেন মুখ্যসচিব। স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে বরফ না গলায়, এবার চিঠি দিলেন তিনি। আজ ফের নবান্নে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় ডাকা হয়েছে। সন্ধে ৬টায় নবান্নে বৈঠকের জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি পাঠালেন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলে ১২ থেকে ১৫ জন থাকতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তারদের যে কাজে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে, তার উল্লেখও রয়েছে চিঠিতে। (Junior Doctors Protest)
এর আগে, গতকাল স্বাস্থ্যসচিবের তরফে ইমেল পাঠিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডাকা হয়। কিন্তু যাঁর পদত্যাগ চাইছেন, তাঁর কাছ থেকে এই ইমেলে এবং সেই ইমেলের বয়ানে তাঁদের অসম্মান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকি নবান্নে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা করছেন, তার উল্লেখও চিঠিতে ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। (RG Kar Case)
সেই বৈঠক না হওয়ায় মমতা বেরিয়ে গিয়েছিলেন নবান্ন থেকে। এর পর, বুধবার ভোর ৩টে বেজে ৪৯ মিনিটে মমতাকে ইমেলে চিঠি পাঠান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। দুপুর পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব মেলেনি বলে জানান তাঁরা। আর ঠিক তার পর পরই জুনিয়র ডাক্তারদের চিঠি দেন মুখ্যসচিব। মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিপ্রাপ্তির কথাও স্বীকার করেন মুখ্যসচিব। আজ সন্ধে ৬টায় ফের আলোচনায় আহ্বান জানানো হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের।
এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের পাঠানো চিঠিতে মুখ্য়সচিব জানান, ১২ থেকে ১৫ জন আসতে পারেন নবান্নে। যে কোনও সদর্থক এবং গঠনমূলক আলোচনার জন্য প্রস্তুত সরকার, কারণ তাতে স্বাস্থ্য়ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং সুরক্ষিত করা যাবে। এর পাশাাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যসচিব। সকলকে কাজে যোগ দিতে অনুরোধ জানান তিনি।
জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে মুখ্যসচিব এদিন লেখেন, '১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আইন মান্যকারী হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটা এখনও দেখা যায়নি। আশা করি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আপনারা দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। কাজে যোগ দিলে, আপনাদের সব সুবিধা-অসুবিধার খেয়াল রাখবে রাজ্য। গতকালও আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছিলাম। আপনারা সম্মত হননি আপনারা। আবারও আলোচনায় আহ্বান জানাচ্ছি'।
তবে মুখ্যসচিব আলোচনায় আহ্বান জানালেও, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিদাওয়ার কোনও উল্লেখ নেই চিঠিতে। বরং মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, গত ৩২ দিন ধরে সাধারণ মানুষ মূল্যবান চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকলকে কাজে যোগ দিতে অনুরোধ করছে রাজ্য। স্বাস্থ্যব্যবস্থার স্বার্থে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।