সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনের সিসি ফুটেজ (CCTV Footage) উধাও শুনে বিস্মিত বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকের কাশীপুর পঞ্চায়েতে এমনই ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই পঞ্চায়েতের ২টি বুথে ভোটের দিনের ফুটেজ উধাও, বলে প্রাথমিক ভাবে খবর। বিডিও-র দাবি, ১১ এবং ১২ নম্বর বুথের ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, 'ফুটেজ না থাকলে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবেন কী ভাবে?' কী ভাবে নষ্ট হল সিসি ফুটেজ?', জানতে চেয়ে বিডিও-র হলফনামাও তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি সিনহা এও বলেছেন, 'বোর্ড গঠন করা হলে তার ভাগ্য নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যতের উপর।' ভোট-গণনার দিন হামলার অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বিবি। অভিযোগ ছিল, বুথের বাইরে ব্যালট পাওয়া সত্ত্বেও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ না দেওয়া হয়নি। তাই মামলা।
নতুন নয়...
পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তার মধ্যে একটি মামলায় আগেই মন্তব্য করেছিল, জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট মামলার উপর নির্ভর করছে। সেই সূত্রে আরও বলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সেই সিসিটিভি ফুটেজই উধাও হওয়ার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনা হল, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের নানা পর্বে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগই হাইকোর্টে বিচারাধীন। এবার সেই মামলার রায়ে কী বেরোয়, তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ।
ধাক্কা বিডিও-র...
প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র বিকৃতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন উলুবেড়িয়ার বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। সাসপেনশনের সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন বিডিও। কিন্তু মামলা ফেরত গেল বিচারপতি অমৃতা সিন্হার কাছেই। ৩ অগাস্ট বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা। বিচারপতি অমৃতা সিন্হার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন উলুবেড়িয়ার বিডিও। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। 'কী চান?' 'সুবিচার চাই', বিচারপতির প্রশ্নে উত্তর দেন বিডিও-র আইনজীবী। 'আপনি কি অন্যদের সঙ্গে সুবিচার করেছেন?' বিডিওকে প্রশ্ন করে আদালত। 'সংবিধান আপনাকে ভরসা করেছিল,কিন্তু আপনি কি সেই ভরসা রেখেছেন?' আপনি প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ', মন্তব্য বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের। 'আজমল কাসভের বক্তব্যও শোনা হয়েছিল। আমার বক্তব্য শোনা হোক', সওয়াল করেন বিডিও-র আইনজীবী।
আরও পড়ুন:'বাংলায় ৬ লক্ষ পদ লোপ,২ কোটি বেকারের আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে', রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর