সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই-এর উপর (CBI On Recruitment of Teachers At Class IX And X) তীব্র অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট (high court Expresses Disappointment)। তদন্তকারী সংস্থার কাজের ধরনে বিরক্ত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 'সিলবন্ধ খামে দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে আইনজীবীর রিপোর্টের মিল নেই। দেশের একটা প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল কাম্য নয়', সরব বিচারপতি।


আর কী বললেন?
কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন, 'সিবিআই-এর রিপোর্টের চেয়ে তাদের আইনজীবীর রিপোর্টে বেশি তথ্য আসছে। এটা কী ভাবে হয়? ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে'। একইসঙ্গে এসএসসি-র ভূমিকা নিয়েও সরব বিচারপতি বসু। শুধু তিনি নন, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তকারী অফিসারের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতিও। 


কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়?
সিবিআই-এর সিট থেকে তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'তদন্তের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না, কোনও ফাইল স্পর্শ করতে পারবেন না, ডিআইজি পদক্ষেপ করবেন', নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের। প্রসঙ্গত, এদিনই দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করেছেন এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা। ৬৮৮ দিন ধরে ধর্না চলছে তাঁদের। এবার পরবর্তী পদক্ষেপ, প্রত্যেক আন্দোলনকারী নবান্নে একটি করে চিঠি পাঠাবেন। তাতে ধরা পড়বে, গত প্রায় ৭০০ দিন ধরে চলতে থাকা আন্দোলনের আর্তি। সংবাদমাধ্যমের ক্য়ামেরায় আন্দোলনকারীদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে চিঠি ধরা পড়েছে। চোখেমুখে হতাশা ও অসন্তোষের ছাপ স্পষ্ট। চিঠিতে কী লেখা? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ৬৮৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। এর এবার বিহিত করুন তিনি, আর্জি তাঁদের। এক আন্দোলনকারীর কথায়, 'আমরা যোগ্য প্রার্থী। তাও এত দিন ধরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে বসে রয়েছি। আমাদের হকের চাকরিটা যেন ফিরে পাই, তাই আবেদন করেছি। আমাদের যাতে দ্রুত নিয়োগ হয় ও এই জীবনযন্ত্রণার যাতে অবসান হয়, সেটিও জানিয়েছি।' কথা বলতে বলতে গলা ধরে এল তাঁর। খেদ, তাঁদের সঙ্গে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনও তীব্র ভোগান্তির মুখে। প্রত্যেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, একসঙ্গে জিপিও গিয়ে চিঠি পোস্ট করবেন। কিন্তু সেই কর্মসূচি হচ্ছে না। রদবদল করতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের একসঙ্গে জিপিও যেতে দেবে না। একসঙ্গে সর্বোচ্চ দশজন যেতে পারেন, তার বেশি যাওয়া যাবে না। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে ১০-১৫ জন মিলে হাঁটতে হাঁটতে জিপিও গিয়ে চিঠি পৌঁছে দেবেন। ঠিকানা অবশ্য়ই নবান্ন। আন্দোলনকারীদের কথায়, 'এটা আমাদের আর্তনাদ। ৭০০ দিনের আর্তনাদ।'


আরও পড়ুন:কবে মিলবে হকের চাকরি? দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন আন্দোলনকারীদের