কলকাতা: কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি মামলায় (Kaustav Bagchi Arrested Case) কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ। ক্ষোভপ্রকাশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)। 'কমিশনারের রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়', মত বিচারপতির।


'গোটা ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়, সবাই জানে'


'রিপোর্টে কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে পুলিশি অভিযান যুক্তিগ্রাহ্য বলছেন কমিশনার', বিস্ময়প্রকাশ বিচারপতির। 'গোটা ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়, সবাই জানে। তা হলে কি এটা মনে করতে হবে কমিশনার তাঁর অধীনস্থ পুলিশকে বেআইনি কাজের জন্য উৎসাহিত করছেন?' সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতির। 'এই ধরনের আচরণ মানতে পারছি না, পুলিশকে সতর্ক করার প্রয়োজন রয়েছে', মন্তব্য বিচারপতির। ১২ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের হলফনামা তলব, ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী নির্দেশ সিআইএসএফ নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা জানতে চাইল হাইকোর্ট।


নিরাপত্তা চান কৌস্তভ


সম্প্রতি,   নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। কৌস্তভের দাবি, তাঁর ওপর হামলা হতে পারে বলে এক তৃণমূল কর্মী জানান। এরপর গতকাল রাতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকে ই-মেল করে নিরাপত্তা চান কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার দাবি, রাতে তাঁর ব্যারাকপুরের  বাড়ির সামনে ঘুরে যায় পুলিশ। এই নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান উত্তম দাসের দাবি, গোটাটাই নাটক। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চাইলে পেয়ে যাবেন কৌস্তভ। এর মাঝেই কৌস্তভ বাগচীকে বার্তা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। ব্যক্তি-আক্রমণ নয়। লড়াই হবে রাজনৈতিক। দলীয় নেতা কৌস্তভ বাগচীকে বার্তা অধীর চৌধুরীর। 


আরও পড়ুন, কম্বল বিলিকাণ্ডে আজ জিতেন্দ্রকে আদালতে পেশ, থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপির


ডিএ-ধর্নামঞ্চে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস নেতা কৌস্তভকে


অপরদিকে, সরকারি কর্মীদের ডিএ-ধর্নামঞ্চে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। এই ইস্যুতে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেছিলেন, 'পছন্দ না হলে মুন্ডু কেটে নিতে পারেন, তবে এর বেশি ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।' যা নিয়েও চড়েছিল রাজনৈতিক পারদ। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কৌস্তভ বাগচী। যারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও জামিন পেয়ে মাথা মুড়িয়ে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী শপথ নিয়েছেন, যতদিন না মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন, ততদিন মাথায় চুল রাখবেন না তিনি। এর মাঝেই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি একজোট করছে বাম-কংগ্রেসকে। রাজ্যের একাধিক জায়গায় গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বামেরা।