সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রেশন-দুর্নীতিতে (Ration Scam) ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick Health Stable) শারীরিক অবস্থা 'স্থিতিশীল', খবর হাসপাতাল সূত্রের। আরও জানা যাচ্ছে, নতুন করে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি তাঁর। হৃদযন্ত্রের অবস্থাও সন্তোষজনক। তবে দুপুর পর্যন্ত হল্টার মনিটরিং চলবে, খবর অ্যাপোলো হাসপাতাল সূত্রের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ডাক্তারদের জানিয়েছিলেন, বাঁ হাতে জোর পাচ্ছেন না। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীর জোড়া এমআরআই করা হবে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে  রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর শরীরের বাকি সব প্যারামিটার স্বাভাবিক। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে এসেছে ইডি-র টিম। 


কী জানা গেল?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসকেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী যা যা শারীরিক সমস্যার কথা বলছেন, সেই মোতাবেক সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার শেষ করতে চাইছেন। তিনি ডাক্তারদের জানিয়েছিলেন, বাঁ হাতে জোর পাচ্ছেন না। সেই জন্য চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জোড়া এমআরআই করা হবে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সার্ভাইকাল স্পাইনের এমআরআই করার কথাই ছিল। তার সঙ্গে ফের মস্তিষ্কের এমআরআই করে দেখে নেওয়া হবে যে কোনও স্নায়ুতে কোনও সমস্যা হবে কিনা। পাশাপাশি, ডাক্তারদের পরামর্শমতো আজ সকাল থেকে বুকের ফিজিওথেরাপিও শুরু হয়েছে তাঁর। বনমন্ত্রীর ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন মাত্রাটা সামান্য বেশির দিকে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, গত এক বছর ধরে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। অগাস্টে অ্যাপলো চেন্নাই থেকে এর চিকিৎসা করিয়ে ফেরেন জ্যোতিপ্রিয়। এই সমস্যার কারণেই ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বাকিদের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে জ্যোতিপ্রিয়র কাছে এটিই 'বেসলাইন।' তাই এই রিপোর্ট নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন ডাক্তাররা। এখন তাঁর হদযন্ত্রের সমস্যার দিকটি দেখার কথা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, যা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তাতে সেখানেও কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। তবে হৃৎপিণ্ডের 'রিদম'-এ কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা জানতে গত কাল দুপুর ২টো থেকে হল্টার মনিটরিং চলছে। আজ দুপুর ২টো তা শেষ হবে। তার পরই তাঁকে এমআরআই করাতে নিয়ে যাওয়ার কথা। 


মূর্ছা...
গত কাল ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই এজলাসে মূর্ছা গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বমিও করে ফেলেন তিনি! মাথায় জল ঢেলে মন্ত্রী-কে কিছুটা ধাতস্থ করেন মেয়ে। এরপর এজলাসের বাইরের বারান্দায় ফ্যান চালিয়ে বসানো হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে।  ইডির অনুরোধে, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিচারকের বাতানুকূল চেম্বারে। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।


আরও পড়ুন:সিউড়ি হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত