কোচবিহার: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতারির পর ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে। আর এবার তৃণমূল নেতাদের সিবিআই-ইডি দিয়ে হেনস্থা ও গ্রেফতারির প্রতিবাদে দিনহাটায় (Dinhata) মিছিল উদয়ন গুহের (Udayan Guha)। বিজেপি নেতারাও বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না, হুঁশিয়ারি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। ইডি সূত্রে খবর,বনমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দে এবং রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ব্য়বসায়ী বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক সূত্র পাওয়া যায়। তা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী। এরপরেই গতকাল রাত ১০টায় তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের মোবাইল ফোন। সেটির ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে।
অপরদিকে জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'বাকিবুর রহমানের আবিষ্কার হওয়ার পরে ক্রমশ পরিষ্কার হচ্ছে, যে এটাতে বাকিবুর রহমান একটা ইন্সট্রুমেন্ট ছিলেন। কিন্তু বাকিবুর রহমানের প্রটেকটর, মেন্টর, গাইডার ছিলেন ১১ থেকে ২১ এর খাদ্যমন্ত্রী (২০১১-২০২১), উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অত্যন্ত আত্মার আত্মীয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি দীর্ঘ জেরার পর গ্রেফতার হওয়ার মধ্য় দিয়ে, এই দুর্নীতির কিংপিন তিনি আপাতত ইডির কাস্টডিতে গেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সামনে ছিলেন। তাঁর তোলা অর্থের বড় অংশ, মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের কাছে গিয়েছে।এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন ছাড়া, এই হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি, কখনই একজন জেলা স্তরের নেতার করা সম্ভব ছিল না।'
আরও পড়ুন, '.. এদের হত্যা করাও হতে পারে', জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক দিলীপ
পাল্টা এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুভেন্দুর ভিডিও কে ছেড়েছিল, হাত পেতে ঘুষ নিচ্ছে, একটা রেজিস্টার চোর, চিটিংবাজ। শুভেন্দু অধিকারী। কে চোর বলেছিল ? বিজেপি চোর বলেছিল। সিবিআই কে চেয়েছিল ? বিজেপি চেয়েছিল। সিবিআই কার নামে এফআইআর করেছিল ? শুভেন্দুর নামে এফআইআর করেছিল। তারপর শুভেন্দু বিজেপিতে চলে গেল। বড় বড় কথা বলছে ! সিবিআই-ইডি দেখতে পাচ্ছে না ? এফআইআর হয়ে পড়ে থাকে, বিজেপিতে গেলে রেহাই পেয়ে যায় ! পাশাপাশি, এএনআই সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ বলেছেন,' এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিজেপি জানে সাধারণ মানুষ তাঁদের সঙ্গে নেই। তাই প্রতিশোধ নিতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছে।..'