কলকাতা: বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) ফলকে ব্রাত্য় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) নাম। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের কৈফিয়ত তলব করলেন রাজ্য়পাল। রাজভবন সূত্রের খবর, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ শুধু বাংলারই নন, দেশের মহান ব্য়ক্তিত্ব বলে বিদ্য়ুৎ চক্রবর্তীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)।                                      


উপাচার্যের কৈফিয়ত তলব রাজ্য়পালের: বিশ্বকবির অমর সৃষ্টিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো। বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলকেই নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। আছেন কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্ক নিয়ে বৃহস্পতিবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ফোন করেন রাজ্যপাল। কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম ফলকে নেই তা নিয়ে কৈফিয়ত চান সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে বিষয়টি বলা হয়েছে, ফলকে কী লেখা থাকবে তারাই ঠিক করবে।                       


বাংলার গর্বের শান্তিনিকেতন। বাঙালির গর্বের বিশ্বভারতী, তারই ফলকে ফের লেগেছে বিতর্কের কালি আর রাজনীতির রং। এই নিয়ে বৃহস্পতিবারই কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,“যদি কাল সকালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না লেখা হয়, তাহলে আমাদের ওখানের লোকেরা সকাল ১০ টা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।’’ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ঘোষণা মতোই এদিন শান্তিনিকেতনে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্বভারতী ক্য়াম্পাসের বাইরে কবিগুরু মার্কেটের সামনে আন্দোলনে নামে তারা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে তৃণমূল। বিক্ষোভ অবস্থানে যোগ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর একাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী।         


অন্যদিকে, এই নিয়ে এদিন সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। সেখানে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিশানা করে লেখেন, “আগেও বলেছি এখনও বলছি নিজের উপাচার্য পদ বাঁচানোর তাগিদে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে এই ওভারস্মার্ট ভণ্ড বিজেপি বিশ্বভারতীর উপাচার্য আরও ক্ষতি করবে।





’’





আরও পড়ুন: Dengue Death: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, হাওড়ায় মৃত্যু এক মহিলার