আবীর দত্ত, কলকাতা : গতকাল মেয়ে, আজ দাদা। রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Distribution Scam) মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গতকাল মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনীর পর আজ সিজিও কমপ্লেক্সে নথি নিয়ে হাজির হলেন মন্ত্রীর দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ ED দফতরে পৌঁছন জ্যোতিপ্রিয়র দাদা। পেশায় চিকিৎসক যিনি।


গতকাল বেশ কিছু নথি নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mullick) মেয়ে। সূত্রের দাবি, তদন্তকারী অফিসার না থাকায়, কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে আসেন তিনি। বেরোনোর সময়, সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারান মন্ত্রী-কন্যা।


ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল হলেও হাসপাতালে থাকার জেরে এখনও শুরু করা যায়নি জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যে রেশন বন্টন দুর্নীতিতে মন্ত্রীর জড়িত থাকা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী, কন্যা, আপ্ত সহায়ক থেকে অনেকেই ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার ব্যাপারে যুক্ত বলেও দাবি করেছে ইডি। 


ইডি সূত্রে খবর, একটি নেশামুক্তি কেন্দ্র চালান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। ইডির তরফে তাঁর কাছে বেশ কিছ তথ্য চাওয়া হয়। সেই সব বিভিন্ন নথি নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন মন্ত্রীর দাদা। জানা যাচ্ছে, তদন্তকারী আধিকারিকরা মন্ত্রীর দাদার সঙ্গে বিভিন্ন নথি নিয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্য চাইতে পারেন।


ইতিমধ্যে ED-র দাবি করেছে, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, এই ৩টি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বয়ং মন্ত্রী। তবে একা নন, ED-র দাবি,জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপা, মেয়ে প্রিয়দর্শিনী, প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও তাঁর পরিবার, মন্ত্রীর শ্যালক অশোক সেন, বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস-সহ অন্তত ১০ জন এই ৩টি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ED-র আরও দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে নগদ ৬ কোটি এবং মেয়ের অ্যাকাউন্টে যে নগদ ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল, তা বাকিবুরেরই দেওয়া রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা।                                  


আরও পড়ুন- কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করার ৩ কোম্পানিরই মালিক জ্যোতিপ্রিয়, চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির