কাকদ্বীপ: রাজনীতির হাত থেকে রেহাই নেই বালেশ্বর দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারেরও! তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত কাকদ্বীপ। নৌশাদ সিদ্দিকির সামনেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ। বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক। সেই সময় সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল-আইএসএফ। সংঘর্ষে মাথা ফাটল আইএসএফ ব্লক সভাপতির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আইএসএফের। নৌশাদের সঙ্গে আসা বহিরাগতরা হামলা চালিয়েছে, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। এর আগে গত রবিবার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে, কাকদ্বীপে অগ্নিমিত্রা পালকে বাধা দেওয়া হয়। দেখানো হয় বিক্ষোভও। কাঠগড়ায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।


মুখ্য়মন্ত্রী কটকে গেলেন!আহতদের দেখলেন! পাশে থাকার বার্তা দিলেন! অন্য়দিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতকে কাকদ্বীপে দেখতে গিয়ে, আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির সামনেই বাধল সংঘর্ষ। ঝরল রক্ত। 


দুর্ঘটনায় মৃতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার পরিবর্তে, নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-আইএসএফ। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কাকদ্বীপের বাসিন্দা সানোয়ার মোল্লার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ৬৪ বাড়ি গ্রামে যান আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। অভিযোগ সেই সময় আইএসএফ-এর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। সংঘর্ষে কপাল ফাটে আইএসএফের কাকদ্বীপ ব্লক সভাপতির। সম্প্রতি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এই আবহেই এবার কাকদ্বীপে নৌশাদের সামনেই সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও আইএসএফ। সব মিলিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফ-এর সংঘাত ক্রমেই বাড়ছে।


বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে সিবিআইয়ের ১০ জনের প্রতিনিধি দল। দুর্ঘটনার দিন কোন শিফটে কোন কর্মীরা ছিলেন, কারাই বা ছুটিতে ছিলেন, নামের তালিকা সঙ্গে করে নিয়ে গিলেন তাঁরা। এদিকে, রেল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নিয়ে মঙ্গলবার কিছুটা হলেও সুর নরম মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের।  


অন্তর্ঘাত, না কি নিছকই ভুল? কারণ খুঁজতে 'করমণ্ডল ফাইলস' খুলল CBI> দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা!মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিবিআইয়ের ১০ জন অফিসারের টিম পৌঁছয় বাহানাগা বাজার স্টেশনে। দিল্লি থেকে আসেন জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরী ও আরও ১ জন আধিকারিক। বাকি ৮ জন আধিকারিক যান ভুবনেশ্বর থেকে।


এরইমধ্য়ে রেল দুর্ঘটনার তদন্তে সিবিআই কেন এই প্রশ্নে এখনও রাজনৈতিক তর্কবিতর্ক জোরদার। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্য়ুইটে লিখেছেন, বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্ট জমা পড়ার আগেই সিবিআই তদন্ত ঘোষণা করে দেওয়া হল। এটা কিছুই নয়, ডেডলাইনে পৌঁছতে না পেরে হেডলাইন ম্যানেজমেন্ট। 


তবে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রথম দিন সুর চড়া করলেও, মঙ্গলবার কটকে সুর কিছুটা নরম শোনা গেছে মুখ্য়মন্ত্রীর। ট্রেন দুর্ঘটনার পরই এফআইআর দায়ের করেছিল বালেশ্বর জিআরপি। সেই এফআইআরের প্রেক্ষিতেই আলাদা করে মামলা রুজু করেছে সিবিআই।