কলকাতা: বিতর্ক পিছু ছাড়ে না তাঁকে। কখন সংসদে 'ছু কিত কিত' করে শিরোনামে যান। কখনও আবার যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাদানুবাদ চলাকালীন সামনে রাখা বোতল ভাঙেন কল্যাণ, ছুড়ে ফেলেন জেপিসির চেয়ারম্যানের সামনে। তবে এবার অন্য আঙ্গিকে আলো টানলেন তিনি। মূলত হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি বাঁকুড়া শহরের দোলতলায়। সেখানে নিজের হাতে মা কালীর পুজো করেন তিনি। পুজোর জোগাড় থেকে আরতি নিজে হাতেই সবটা করেন কল্যাণ। পুজোর সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সাংসদ। দেবী মূর্তিকে জড়িয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। 


উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তৈরি যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুলকালাম পরিস্থিতির তৈরি হয়। রীতিমতো রক্তারক্তিকাণ্ড।ভাঙা কাচে হাত কেটেছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' ও কোনও উকিল ছিল নাকি ? আইন-ফাইন জানতো ? দুজন বন্ধু ছিল বলে হাইকোর্টের জজ হয়েছিল। ওর যদি আইনের জ্ঞান থাকে, সুপ্রিম কোর্টে এসে একটা মামলায় আর্গুমেন্ট করুন ২০-২৫ মিনিট। দেখি না কত আইনের জ্ঞান আছে ! কত বড় অ্যাডভোকেট ছিল ? আইনের কত জ্ঞান দেখা যাবে এবং কতটা অ্যাডভোকেসি জানে দেখা যাবে। চ্যালেঞ্জ দেওয়া রইল। আসুক কবে আসবে। বেকার বসে বসে লোকের কাঠি না দিয়ে, আরও কেস করতে বলুন না। ওকে কাউন্ট করি না। এরপরেই অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সাংবাদিক বলেন, একসময় তো..। যদিও কথা শেষ করার আগেই এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ও ছাড়ো ! ও হচ্ছে জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার ছিল। সবাই জানে।' 


আরও পড়ুন, আবেদনেও মেলেনি সাক্ষাৎ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার মা-বাবা ?


অপরদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'ওনার মধ্যে একটা বীররসের আধিক্য আছে। ওনার অভিনয় ক্ষমতা অত্যন্ত ভাল। উনি সফল আইনজীবী আছে, তবে উনি যদি অভিনয়েও নামতেন, তাহলেও তিনি যথেষ্ট উন্নতি করতে পারতেন। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ও জহর রায়ের মৃত্যুর পরে, একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে বাংলা ছবিতে। হিন্দিতেও আছে। তো সেই জায়গায় ওনার যোগদান হতে পারত। একটা প্রতিভাকে আমরা হারিয়ে ফেললাম। আর দলের এজেন্ডা তো রাখতেই হবে।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।