কলকাতা : কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ঢল। সমস্ত রীতি নীতি মেনে ভবতারিণীর আরাধনা। ভোরে বিশেষ আরতি হয়, তারপর নিত্যপুজো। সকাল থেকে পুজোর ডালি হাতে ভক্তদের লম্বা লাইন।
যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা
আজ কালীপুজো। শক্তির আরাধনা। দিকে দিকে সাড়ম্বরে পূজিতা হবেন মা। সতীপীঠ থেকে সিদ্ধপীঠ, দেবী বন্দনায় মেতে উঠবে সমগ্র বাংলা। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী।
'সকাল থেকেই মহা ধুমধামের সঙ্গে এই পুজো পালিত হয় মায়ের..'
৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ বীরভূমের কঙ্কালীতলা। কথিত আছে লাল মাটির এই অঞ্চলেই পড়েছিল দেবীর কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের অংশ। রীতিনীতি মেনে প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই কুমারী পুজো চলে আসছে কঙ্কালিতলায়। সকাল থেকেই মহা ধুমধামের সঙ্গে এই পুজো পালিত হয় মায়ের সতীপীঠে, ভক্ত সমাগমের ভিড়। অপরদিকে, তারাপীঠে শক্তির আরাধনা। রীতি মেনে পুজো। আলোর মালায় সেজেছে গোটা মন্দির।পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা মন্দির চত্বর। ভোর থেকে শুরু হয়েছে মাতৃ আরাধনা। জবা, নীলকণ্ঠ, পদ্মে সেজে উঠেছেন মা তারা। মঙ্গলারতির পর হবে নিত্যপুজো।
'এখানে মাকে গোলাপ জল এবং সুগন্ধি দিয়ে স্নান করানো পর করা হয় আরাধনা'
প্রতিবছরের মতো মঙ্গলারতি দিয়ে শুরু হয়েছে লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরের পুজো। এখানে মাকে গোলাপ জল এবং সুগন্ধি দিয়ে স্নান করানো পর করা হয় আরাধনা। সুবিশাল শিলাকেই পুজা করা হয় দেবীরূপে। নিয়ম মেনে পুজো হচ্ছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরেও। জনশ্রুতি, সতীর দেহাংশের মধ্যে বাম গুল্ফ বা বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে। এখানে শোল মাছের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে।