রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: নিমগাছ এখানে দেবী। বেদিতে কোন দেবীর প্রতিমা  থাকে না, কালী মন্ত্রে দেবী জ্ঞানে নিম গাছকে  পুজো করা হয়।  দেবী এখানে 'ঝুপোমা' হিসেবে পরিচিত।কারণ দেবী একসময় ঝোপে বাস করতেন। পুজোকে ঘিরে  হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কাটোয়া পাবনা কলোনির  ঝুপোমায়ের পুজো ঘিরে মাতোয়ারা কটোয়াবাসী।

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, বাংলায় প্রচুর ধর্ষক বেড়ে গেছে, ধর্ষকদের শেষ করার জন্য, মা কালীর খড়গটা লাগবে : শুভেন্দু

Continues below advertisement

প্রায় আড়াইশো বছর আগে  নদী তীরবর্তী ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা  জনমানব শূন্য একটি এলাকা ছিল । কথিত আছে এই নিমগাছের নিচে একসময়  ডাকাতরা মা কালীর সাধনা করেছে। কোন এক ডাকাত সর্দার এই  দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারপর এক সাধক এই নিম গাছেই দেবীকে দেখতে পেয়েছিল। তারপর থেকে সেই নিম গাছকেই দেবীরূপে পূজা করা হয়। শতাব্দী প্রাচীন এই ঝুপোমায়ের পুজোকে ঘিরে কাটোয়ার মানুষের উন্মাদনা থাকে। বেনারসি শাড়ি, গহনা, মালা ,মুকুট  দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় নিম গাছকে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে নিম গাছাই যেন মায়ের রূপ ধারণ করেছে।।কালী প্রতিমা ছাড়া  গাছকে দেবী মেনে পুজোই হল এখানকার কালীপুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

আজ কালীপুজো। শক্তির আরাধনা। দিকে দিকে সাড়ম্বরে পূজিতা হবেন মা। সতীপীঠ থেকে সিদ্ধপীঠ, দেবী বন্দনায় মেতে উঠবে সমগ্র বাংলা। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি। নরমুণ্ডই দেবীর অলঙ্কার। যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতিদের মুণ্ডের মালা মা কালীর কণ্ঠের শোভা। বলা হয়, পঞ্চাশটি মুণ্ডের এই মালা আসলে জ্ঞানের প্রতীক। যে সেনাপতি তাঁর চুল ধরে অপমান করেছিল, তাঁর মুণ্ড দেবী হাতে ধরে থাকেন। মৃত সেনাপতিদের হাতের পাতা দেবী কোমরে ধারণ করেন। শাস্ত্রমতে এই করতলও জ্ঞানের প্রতীক। ভুল করে স্বামী মহাদেবের গায়ে পা তুলে ফেলায় লজ্জিতা রণে উন্মত্ত দেবী। 

তারাপীঠে শক্তির আরাধনা। রীতি মেনে পুজো। আলোর মালায় সেজেছে গোটা মন্দির।পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা মন্দির চত্বর। ভোর থেকে শুরু হয়েছে মাতৃ আরাধনা। জবা, নীলকণ্ঠ, পদ্মে সেজে উঠেছেন মা তারা। মঙ্গলারতির পর হবে নিত্যপুজো।  ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ বীরভূমের কঙ্কালীতলা। কথিত আছে লাল মাটির এই অঞ্চলেই পড়েছিল দেবীর কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের অংশ। রীতিনীতি মেনে প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ এই কুমারী পুজো চলে আসছে কঙ্কালিতলায়। সকাল থেকেই মহা ধুমধামের সঙ্গে এই পুজো পালিত হয় মায়ের সতীপীঠে, ভক্ত সমাগমের ভিড়।