সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সোনা (Gold) দিয়ে বাঁধানো হল কালীঘাট মন্দিরের (Kalighat Temple) ৩টি চূড়া। মাঝের সোনার চূড়ার দৈর্ঘ্য সাড়ে ৬ ফুট এবং দু পাশের সোনার চূড়াগুলির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট। মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি কুণ্ড পুকুরের জল পরিষ্কার করতে লাগানো হয়েছে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট।         

  


নব কলেবরে সেজে উঠছে কালীঘাট মন্দির। কালীঘাট মন্দিরকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে স্কাইওয়াক। স্কাইওয়াক তৈরির কাজ শেষ হলেই মেরামত করা হবে আশেপাশের রাস্তাঘাট। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ। এরই মধ্যে মন্দিরের ৩টি চূড়াকে সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হল। মাঝের চুড়াটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৬ ফুট। পাশের ২টি চুড়ার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট। 


কালীঘাট মন্দির কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাবলু হালদার বলেন, 'রাজ্য সরকার মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল তার মধ্য়ে মন্দিরের ভিতরের অংশটি রিলায়েন্সকে দিয়েছিল। সেই কাজ চলছে। দু দিন আগে সোনার কলস লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে।  


কালীঘাট মন্দিরের ভিতরে মূলত দুটি অংশ হেরিটেজ ও নন হেরিটেজ। হেরিটেজ অংশের সংস্কারের কাজ চলছে। মন্দিরের হেরিটেজ অংশের সংস্কারের জন্য বিদেশ থেকে লাইম মর্টার আনা হয়েছে। তা দিয়ে মন্দিরের গায়ের সংস্কার করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন, 'মানুষের সেবাই ধর্ম', নিত্যদিন হাসিমুখে রোগী দেখে চলেন প্রচারবিমুখ 'বিনে পয়সার' এই ডাক্তার


মন্দিরের গায়ে যে সমস্ত পোড়া মাটির কাজগুলি ছিল, নতুনভাবে ছাঁচ করে সেগুলিতে আবার পুরনো আকারে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যাতে প্রায় ১০০ বছরের প্রাচীন কালীঘাট মন্দিরকে আগেকার রূপে দেখতে পান পুণ্যার্থীরা। 


মন্দিররে গর্ভগৃহের দরজাগুলি রূপো দিয়ে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে।  বিষ্ণুপুরের পোড়া মাটির কাজ দিয়ে হয়েছে নব দুর্গা ও দশমহাবিদ্যার মূর্তি। মন্দিরের ভিতরের  কাজ করার জন্য রাজস্থান থেকে শিল্পীরা এসেছেন।


মন্দির চত্বরের মধ্যেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে কুণ্ড পুকুরকে। পুকুর এবং ঘাটেরও সংস্কার করা হচ্ছে। কুণ্ড পুকুরের জল পরিষ্কার রাখতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লাগানো হয়েছে। কালীঘাট মন্দির কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বাবলু হালদার বলেন, 'অনেকেই বলছে কুণ্ড পুকুরের জলকে পরিষ্কার রাখার জন্য় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট লাগানো হয়েছে। ঘাটগুলিকে সংস্কার করা হয়েছে। আগের মতোই স্নান করা যাবে।' 


পুজো সামগ্রীর দোকানগুলিকেও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। কালীঘাট মন্দিরকে তার প্রাচীন রূপে ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যকে মাথায় রেখে চলছে সংস্কারের কাজ।