কলকাতা: সম্পূর্ণ সুস্থ নন সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra), আদালতে (Court) রিপোর্ট দিয়ে দাবি এসএসকেএমের (SSKM)। '৮ ডিসেম্বর থেকে আইসিইউ-তে ভর্তি আছেন সুজয়কৃষ্ণ। বুকে স্টেন্ট আছে, হৃদযন্ত্রের অবস্থা স্থিতিশীল' , সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'র জামিন মামলায় আদালতে জানাল হাসপাতাল। ইডি ও সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবীকে দেওয়া হল হেল্থ রিপোর্টের কপি। ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত কয়েক মাস 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে তদন্তকারীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরেই সরগরম ছিল বঙ্গ-রাজনীতি। প্রায় সাড়ে চার মাস SSKM হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য় বারবার হাসপাতালে গেছে ED। SSKM কর্তৃপক্ষকে চিঠিও দেওয়া হয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহে, জোকার ESI হাসপাতালকে গত ২৪ নভেম্বর মেডিক্যাল বোর্ড গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ED-র বিশেষ আদালত।
কেন্দ্রীয় হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব বলে জানালে,সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে অবিলম্বে ED-র হাতে তুলে দিতে হবে SSKM হাসপাতালকে। এমনটাও জানিয়েছিল আদালত। এরপরই, ED-র তরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন চলতি বছরের শুরুতেই পড়ে যবনিকা। এসএসকে এম থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ESI জোকা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ অসুস্থ হলে রাজ্যের শাসকদলের অধিকাংশ হেভিওয়েটরা আজও এসএসকেম-ই ছুটে যান। বলাইবাহুল্য ভরসা কতদূর। সংবাদমাধ্যমে এই দৃশ্য দেখে মুখস্থ রাজ্যবাসীর। তবে মামলায় নাম জড়িয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের মুখে পড়েও, অতীতে একাধিক বার তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীদের এই সরকারি হাসপাতালের উডবার্ণ ওয়ার্ডে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। সেই তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অনুব্রত মন্ডল, মদন মিত্র, কে নেই সেখানে ?
আরও পড়ুন, মোদির '৪০০' দাবি, ফুৎকারে ওড়ালেন অধীর
এমনকি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টানা দীর্ঘ সময় এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন কালীঘাটের কাকু। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষরা আদৌ কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন এই হাসপাতালে ? লোকসভা ভোটের আগে প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি অভিযানে নামে কংগ্রেস। SSKM হাসপাতালকে তৃণমূলের চোর-দুর্নীতিগ্রস্তরা রিসর্টে পরিণত করেছে। বঞ্চিত হচ্ছে গরিব, মুমুর্ষু রোগীরা। শিশুদের আইসিসিইউ বেড পর্যন্ত দখল করে রাখা হয়েছে সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না, বিক্ষোভে এসে অভিযোগ তুলেছিলেন অধীর চৌধুরী।