ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: শুধু নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোই নয়, নারদ স্টিং-ভিডিও-তেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ সালে নারদের স্টিং অপারেশন (Narada Sting Operation) ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। সেই ফুটেজেও দেখা মিলেছিল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয় ভদ্রের! বিষয়টি নিয়ে বুধবার এবিপি আনন্দর সামনে মুখ খোলেন তিনি। জানিয়েছেন, ম্যাথু স্যামুয়েল (Mathew Samuel) এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে। 


নারদ স্টিং-ভিডিও-তেও দেখা গিয়েছিল 'কালীঘাটের কাকু'কে

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তোলপাড় ফেলে দেয় এই নারদ-স্টিং অপারেশন। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ এবং বিধায়কদের টাকা নেওয়ার সেই ছবি দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দেয়। সেই ভিডিও-তে দেখা গেছিল সুজয়কৃষ্ণকে। তাঁর বক্তব্য, "ম্যাথু স্যামুয়েল এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেই সময় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। উনি ছিলেন না। আমি বললাম, কখনও একটা দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব। ম্যাথু এসেছিলেন, এ রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য। আমি বলেছিলাম, দেখা করার ব্যবস্থা করে দেব। কেউ কখনও আসেনি, ডাকেওনি।"


আরও পড়ুন: Kolkata News: 'আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়', প্রকাশ্যে এসে ঘোষণা 'কালীঘাটের কাকু'র

কয়লাকাণ্ডেও নাম এসেছে সুজয়কৃষ্ণের। কয়লা পাচারকাণ্ডে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে। 
তাঁকে তলব করেছিল আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আসার পর, এ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কী করে, সে দিকেই সকলের নজর।


কয়লাকাণ্ডেও নাম এসেছে সুজয়কৃষ্ণের


এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বুধবার মুখ খোলেন সুজয়কৃষ্ণ। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কর্মরত বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে বার বার নাম উঠে আসা নিয়ে প্রশ্ন করলে জানিয়ে দেন, এমনিতে অভিষেকের ধারেকাছে পৌঁছনোর সাধ্য নেই কারও। তাই তাঁকে বোড়ে করা হচ্ছে বলে দাবি করেন সুজয়কৃষ্ণ।


সুজয়কৃষ্ণ বলেন, "আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। সেই অবধি কোনও লোক পৌঁছতে পারবে না। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে আমি অবধি এসে থেকে যেতে হচ্ছে।" নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই তাঁর, নিজের মেয়েকেই চাকরি করে দিতে পারেননি বলেও দাবি করেন।