উমেশ তামাঙ্গ, কালিম্পং: কালিম্পঙের কাটারে এলাকায় ধস। মাটির বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। 


কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ পেডং বাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কাটারে এলাকাতে ধস নামে। মৃত্যু হয় ৭৫ বছরের বীরবাহাদুর মঙ্গারের।


গতকাল, দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস নামে। গতকাল সকালে কালিম্পঙের ২৯ মাইল এলাকায় ধস নামে। 


আটকে পড়েন কয়েকশো পর্যটক। পূর্ত দফতর ও বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের চেষ্টায় ঘণ্টা চারেক পর রাস্তার একাংশ পরিষ্কার হয়। 


রাস্তার একটি অংশ থেকে ধীরে ধীরে শুরু হয় যান চলাচল। মঙ্গলবার থেরে দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।


গতমাসে সেবকের কাছে পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া বোল্ডারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ান রিনচেন তামাংয়ের। রাঁচিতে কর্মরত জওয়ান গতকাল সিকিমের বাড়িতে ফিরছিলেন। 


শিলিগুড়ি থেকে অটো ভাড়া করে সেবক পর্যন্ত এসে ধসের জেরে আটকে পড়েন। ফের শিলিগুড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় সেবক কালী মন্দিরের কাছে পাহাড় থেকে নেমে আসা বোল্ডার অটোর ওপর এসে পড়ায় গুরুতর জখম হন ওই জওয়ান ও অটোচালক। 


দু’জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পর জওয়ানের মৃত্যু হয়। ছুটি নিয়েও বাড়ি ফেরা হল না সেনাবাহিনীর জওয়ানের। 


তার আগের দিন, সেবকে করোনেশন ব্রিজের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে ধস নামায় কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আটকে পড়ে বহু গাড়ি। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। 


ভরা বর্ষায় প্রায়ই নামছে ধস। ঘটে যাচ্ছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের দিকে নজর দেওয়ার দাবিতে গতমাসে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন কালিম্পং-এর ড্রাইভারদের সংগঠন। 


১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন কালিম্পং-এর ড্রাইভারদের সংগঠন চালক মহাসঙ্ঘ-এর সদস্য চালকরা। এই প্রেক্ষিতে দ্রুত মেরামতি শুরুর আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলাশাসক ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।