সমীরণ পাল, বারাসাত: ভুয়ো নথি দেখিয়ে ওষুধের দোকানের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার চক্রের পর্দাফাঁস। বারাসাত থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লক্ষাধিক টাকা নিয়ে অভিযুক্তরা জাল ড্রাগ লাইসেন্সের ব্যবস্থা করত বলে দাবি ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের।


জাল নথি দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে লাইসেন্সের আবেদন করতে এসে শ্রীঘরে ঠাঁই হল চার অভিযুক্তের। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের নথি যাচাই করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে সরকারি আধিকারিকদের। 


সূত্রের দাবি, চেপে ধরতে অভিযুক্তরা জানান, ভুয়ো আধার কার্ড ও উত্তরবঙ্গ থেকে জাল লাইসেন্স জোগাড় করে ওষুধের দোকানের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা।


বারাসাত থানার পুলিশ ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস থেকে মালদার তিন ও বীরভূমের একজনকে গ্রেফতার করে। মোটা টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ।


উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, জাল লাইসেন্স ও জাল আধার কার্ড নিয়ে এই প্রতারণা চক্র কাজ করত। এক থেকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে জাল ড্রাগ লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার কাজ চলত। 


ওষুধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই চক্র বেশ কিছুদিন ধরে সক্রিয়। এমনই একটি ওষুধের দোকানের মালিক বলেন, ফাইল যখন পরীক্ষা করা হয় তখন আধিকারিকরা দেখেন কাগজপত্র জাল। জালিয়াতি চক্র যাতে দ্রুত ধরা পড়ে তার জন্য অফিসারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি।


উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিস্তৃত জাল লাইসেন্সের জাল। এখন অতীতে এই ভুয়ো নথি দেখিয়ে জাল লাইসেন্স পাওয়া দোকানগুলি জাল ওষুধ বিক্রি করতে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


গতমাসে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি জলের কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সঙ্গে ছিলেন ফুড সেফটি অফিসার। 


বেআইনি জলের কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর জলের জার, রাসায়নিক ও প্লাস্টিকের ছিপি। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেআইনিভাবে জল তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি। গ্রেফতার করা হয় মালিককে। 


তার সপ্তাহ দুই আগেই মধ্যমগ্রামের বিজলিপার্কে মিলেছিল বেআইনি জলের কারখানার হদিশ। বাজেয়াপ্ত হয়েছিল নামী সংস্থার লেবেল লাগানো জলের ড্রাম।