উমেশ তামাং, কালিম্পং: পাহাড়ের বুকে মহিলাদের আবাসিক ফুটবল অ্যাকাডেমি। যার নাম দেবাঞ্জন শের ফুটবল অ্যাকাডেমি। কালিম্পংয়ের শের ফুটবল অ্যাকাডেমির তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে এই অ্যাকাডেমি। মূল উদ্যোক্তা কলকাতার দেবাঞ্জন ফাউন্ডেশন। এই মুহূর্তে এই অ্যাকাডেমিতে ২৫ জন মেয়ে রয়েছেন। তাঁরা এসেছেন কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিক, ডুয়ার্সের মতো এলাকা থেকে। শের ফুটবল ক্লাব ও দেবাঞ্জন ফাউন্ডেশন আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা করা ছাড়াও খাওয়া ও শিক্ষার ব্যাপারেও উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়াও সেই ২৫ জন মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে এই ফাউন্ডেশন। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পাহাড়ি মেয়েরা ফুটবল খেলতে পারদর্শী। এখান থেকেই জাতীয় স্তরের ফুটবলার তৈরি করার ভাবনা চিন্তা রয়েছে তাঁদের।
অ্যাকাডেমিরই একজন আবাশিক হলেন সুষনা রাই। তিনি কালিম্পংয়ের একটি প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসেছেন। শুধু অ্যাকাডেমিতে ফুটবলের অনুশীলনই নয়। কীভাবে মানসিক কাঠিন্যতা অর্জন করতে হয় সেবিষয়েও শিক্ষা নিতে চান তিনি এই অ্যাকাডেমি থেকে। ২টো ট্রায়ালের পরই এই অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল সুষনার।
এদিকে করোনাকালে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর কালিম্পংয়ে ফের চালু হল রিভার রাফটিং। তিস্তা আর রঙ্গিতের বুকে উথালপাথাল স্রোতে তরী ভাসালেন পর্যটকরা। উৎসবের মরশুম শুরুর মুখে রিভার রাফটিং চালু হওয়ায় উপার্জনের আশায় বুক বাঁধছেন কালিম্পংয়ের বাসিন্দারা।
পাহাড় থেকে দুরন্ত গতিতে সমতলের দিকে ধেয়ে চলেছে খরস্রোতা তিস্তা। তার দুর্নিবার স্রোতে ভাসলেন পর্যটকরা। করোনাকালে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর কালিম্পং জেলায় তিস্তা ও তার উপনদী রঙ্গিতের বুকে ফের শুরু হল রিভার রাফটিং। রাফটিং শেষে এদিন নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সিংহ গউর।
সাদা অর্কিডের জন্য বিখ্যাত কালিম্পংয়ের নিসর্গ শোভা এমনিতেই পর্যটকদের প্রিয়। আর এই সুন্দরী পাহাড়ি জেলাতেই তিস্তার বুকে এসে মিশেছে অসমের দীর্ঘতম নদী রঙ্গিত। সেই নদীর বুকেই এখন চলছে হুটোপুটি। লাবারবোতে থেকে কিরনি এবং লাবারবোতে থেকে ভালুখোলা - দুটি রুটে শুরু হয়েছে রিভার রাফটিং।
আরও পড়ুন: বিপজ্জনক অংশ ভাঙতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন ছোট জানবাড়ি