সুনীত হালদার, ডোমজুড়: গত কয়েক দিন অতি বৃষ্টির জেরে মাথায় হাত ডোমজুড়ের প্রশস্ত পটুয়া পাড়ার শিল্পীদের। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে প্রতিমা তৈরীর গোলাতে জল জমে গেছে।
আবার অনেক জায়গায় জল লেগে প্রতিমা থেকে মাটি খসে পড়ছে। দুর্গা পুজো আসন্ন। আর কটা দিন হাতে বাকি। সময়ের মধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করতে পারবেন কিনা, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন শিল্পীরা। চিন্তায় কার্যত তাঁদের ঘুম ছুটেছে।
ডোমজুড়ের প্রশস্ত এলাকায় ছোট ও বড় মিলিয়ে কমপক্ষে ৬০টি প্রতিমা তৈরীর গোলা আছে। প্রতিবছর এইসব গোলায় শুধু স্থানীয় শিল্পীরা নয় মালদা, মুর্শিদাবাদ ও কৃষ্ণনগর থেকেও প্রচুর শিল্পী কাজ করতে আসেন।
এখানে ৬০০-র বেশী দুর্গা প্রতিমা হাওড়া, কলকাতা এবং আশপাশের জেলায় যায়। দুর্গা পুজোর আগে কার্যত নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না শিল্পীদের।
কিন্তু এবছরের ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। এমনিতেই করোনার কারণে পুজোর ক্লাব গুলিতে বাজেটের কাটছাঁট হয়েছে। বায়না দেওয়া প্রতিমার আকার অনেক ছোট। অথচ কাঁচামালের দাম হু হু করে বেড়েছে।
গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত গত কয়েক দিন টানা বর্ষণের জেরে সমস্যায় পড়েছেন শিল্পীরা। বৃষ্টিতে জল থইথই করছে গোলাগুলিতে। ছাদ এবং দেওয়াল দিয়ে জল পড়ার ফলে প্রতিমার মাটি গলে গেছে।
বৃষ্টি ও জোলো হওয়ায় মাটি না শুকানোর ফলে প্রতিমায় রং করা যাচ্ছে না। এদিকে হাতে সময় কম। তাই বায়নার প্রতিমা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দিতে ভরসা ব্লু ল্যাম্প ও ইলেকট্রিক ফ্যান।
কিন্তু ব্লু ল্যাম্প জ্বালাতে প্রয়োজনীয় কেরোসিন তেলের দামও চড়া। ফলে প্রতিমা তৈরীতে খরচ বাড়লেও ক্লাবগুলি সেই দাম দিতে নারাজ। ফলে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে পটুয়াপাড়ার শিল্পীদের।
তাঁরা চাইছেন, যে কোনওভাবে প্রতিমার কাজ পুজোর আগে শেষ করতে। এখন দেখার আবহাওয়ার জন্য সেই কাজ সময়ে শেষ করতে পারেন কিনা।
আরও পড়ুন: বীরভূমে কিন্নাহারের রায় চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজোর জৌলুস আজও অমলিন