শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বাঁ হাতে নয়, এই কালীর ডান হাতে থাকে খড়্গ। পুজোর দিনে হয় পাঁচ পশুপাখির বলি। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে বড় তারা-র পুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
কৈলাসে ফিরে গেছেন বড়দেবী! আসছেন বড় তারা। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। এই কালী, সবার কাছে বড় তারা বা জয় তারা নামেই পরিচিত। কবে পুজোর শুরু হয়েছিল, তা সঠিক জানা নেই কারও। তবে শোনা যায়, প্রথমে রাজবাড়িতে হত পুজো।
১৮৮৯ সালে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর, সেখানকার কাঠামিয়া মন্দিরে নিয়ে আসা হয় মূর্তি। সেখানেই নিত্যপুজো হয় বড় তারার। কালীপুজো উপলক্ষে প্রতিবার তৈরি হয় নতুন প্রতিমা। সাড়ে ১০ হাত উচ্চতার প্রতিমার বৈশিষ্ট্যও আলাদা। রাজ আমল থেকেই কালী পুজো উপলক্ষে পঞ্চবলি প্রচলিত।
পাঁঠা, মেষ, হাঁস, পায়রা, মাগুরমাছ বলি দেওয়া হয় কালীপুজোর দিন মায়ের ভোগে দেওয়া হয় পোড়া শোলমাছ। বড়দেবীর পুজোর মতোই, বড় তারার পুজোরও যাবতীয় আয়োজন করে দেবত্তোর ট্রাস্ট। যা রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের অধীনে রয়েছে। এবারও করোনা বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করছে ট্রাস্ট।
মদনমোহন মন্দিরের দেবোত্তর ট্রাস্টের সচিব বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরম্মপরা মেনেই পুজো হবে, তবে কোভিড সিচুয়েশনে বিধি মেনে, অঞ্জলিতে দূরত্ব মেনে করা হবে।
বংশ পরম্পরায় বড় তারার প্রতিমা গড়ে আসছেন শিল্পী প্রভাত চিত্রকর। নয় নয় করে শেষ ২৫ বছর ধরে মদনমোহন মন্দিরে তাঁর হাতেই রূপ পেয়েছেন কালী। পুজোর মুখে পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন শিল্পী। যদিও তা মানতে নারাজ ট্রাস্ট।
মদনমোহন মন্দিরের প্রতিমাশিল্পী প্রভাত চিত্রকর বলছেন, ঠিকঠাক পারিশ্রমিক পাই না। অন্যদিকে মদনমোহন মন্দিরের দেবোত্তর ট্রাস্টের সচিব বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায় বলছেন, সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। যদিও প্রতিমা গড়ার সময় এসব আর ভাবার সময় থাকে না শিল্পীর। নাওয়া-খাওয়ার সময় ভুলে কাজ করে চলেন তিনি।
রূপ পাচ্ছে বড় তারা