ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আজ রাজ্যজুড়ে শক্তির আরাধনা। তারাপীঠে শক্তির আরাধনা চলছে। রীতি মেনে শুরু পুজো। আলোর মালায় সেজেছে গোটা মন্দির। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে সরগরম মন্দির চত্বর। 


সকালে স্নানের পর দেবীর শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে রাজবেশে সাজিয়ে তোলা হয়। চুনরি পরিয়ে সাজানো হয় মাকে। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি এবং নিত্যপুজো। মাকে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। নিবেদন করা হয় মিষ্টি, ফল ও মিছরি ভেজানো জল। রাতে মায়ের ডাকের সাজ।  


কালীপুজোর দিন তারা মাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্ব পোড়া শোলমাছ মাখা। দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয় বিশেষ সন্ধ্যারতি। আয়োজন করা হয় বিশেষ নিশি পুজোর। পুজো শেষে নিবেদন করা হয় লুচি, পায়েস, সুজি দিয়ে শীতল ভোগ।                                          


তারাপীঠে তারা মায়ের আরাধনা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে, একবার দেবীর মাতৃরূপ দর্শন চান বশিষ্ঠ মুনি। দেবীও নিরাশ করেননি। মাতৃরূপে দর্শন দেন দেবী। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন তারা মায়ের ভক্ত বামাক্ষ্যাপা। ফলে তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ হিসেবেও পরিচিত। 




আরও পড়ুন, মহাস্নানের পর ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন, বলিদান প্রথা, কামাখ্যা মন্দিরে মায়ের সাড়ম্বর আরাধনা


কলকাতা থেকে কামাখ্যা। বীরভূম থেকে বারাসাত। কালীপুজো উপলক্ষ্যে দিকে দিকে সাড়ম্বর আয়োজন। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির গভীর রাতে যোগিনী পরিবৃতা হয়ে আবির্ভূতা হন মা কালী। জগতে কল্যাণ এবং শান্তি স্থাপনের জন্য ভক্তরা দেবীর আরাধনা করেন। তিনি অসুখ বিনাশিনী। মহা শক্তিধর শুম্ভ-নিশুম্ভের হাত থেকে ত্রিলোককে রক্ষা করতেই দেবীর সৃষ্টি।                                                                                                            


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে