রুমা পাল, আসানসোল : আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা মনোনয়ন জমা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘিরে ছিলেন প্রচুর সমর্থক।
এত মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে 'বিহারীবাবু'র আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য়, মোদি যদি বারাণসীতে বহিরাগত না হন, তাহলে তিনি কেন আসানসোলে বহিরাগত হবেন? এর জবাবে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ' মোদি কেন বহিরাগত হতে যাবেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তো কাউকে বহিরাগত বলেননি। বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।'
প্রার্থীর সঙ্গে ছায়ার মতো ছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, বিজেপি দুবার এখান থেকে জিতেছে তো কী ! এবার হারবে। স্বভাবোচিত ভঙ্গিমায় কল্যাণের মন্তব্য, ২০১৯ এর লোক সভায় ১৮ টা আসন পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভায় ২০০-র হাঁক দিয়েও ৭০ এর গণ্ডিতে আটকে গেরুয়া শিবির। এবার নরেন্দ্র মোদি বুঝবেন ২০২৪ এও তাঁর গদি টলোমলো!
এখানেই থামেননি কল্যাণ। তিনি আরও বলেন, 'বাংলা থেকে ১৮টা এমপি পেয়ে দুটো হাফপ্যান্ট পরা মন্ত্রী ছাড়া কিছু দেয়নি বিজেপি, এখন আর তাঁদের কাউকে এখানে আসতে দেখা যায় না, দুবার জিতলেও এবার আসানসোলে হারবে বিজেপি' এবার আসানসোলে ঘাসফুলের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন হুডখোলা গাড়িতে চড়ে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে যান শত্রুঘ্ন। রবিবারই আসানসোলে আসেন তিনি। বিরোধীদের দেওয়া বহিরাগত তকমা নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন তৃণমূল প্রার্থী।
১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেও উপ নির্বাচন। আজ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর সন্ধেয় মে ফেয়ার রোড ও মল্লিকবাজার এলাকায় দুটি কর্মিসভা রয়েছে বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থীর।