সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর: তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন ঢের আগেই। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Abhishek Banerjee) এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) নিয়ে জোড়াফুলে যে সংঘাত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে এ বার টিপ্পনি করতে দেখা গেল বিজেপি (BJP) সাংসদ অর্জুন সিংহকে (Arjun Singh)। তাঁর অভিযোগ, অভিষেক এবং কল্যাণের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। কল্যাণের মতো সিনিয়র নেতাদের তৃণমূলে এখন গুরুত্ব নেই বলেও দাবি করেন অর্জুন।  


শুক্রবার হুগলির চন্দননগরে গিয়েছিলেন অর্জুন। সেখানেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘একটা সময় তৃণমূল করেছি। যতদূর জানি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। কল্যাণরা সিনিয়র নেতা। দলে এখন তাঁরা গরুত্ব পাচ্ছেন না। বরং যে সমস্ত তরুণ তুর্কি গরুপাচার, কয়লা পাচার নিয়ে থাকে, তাদেরই মাথায় তুলে রাখা হচ্ছে।’’


সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও সাবধানী ভূমিকা পালন করছেন। কল্যাণ এবং অভিষেকপন্থী শিবিরকে সতর্ক করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও যদিও শিরদাঁড়ার ফারাক বোঝাতে তৎপর হতে দেখা গিয়েছে কল্যাণকে। শ্রীজাতর কবিতার ছত্রে অভিষেক পন্থীদের সঙ্গে নিজের তফাত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন: Madan Mitra: "অর্জুন অভিষেক, কৃষ্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,'' ডায়মন্ড মডেল বিতর্কে মন্তব্য মদনের


সৌগত রায় থেকে, কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার, একে একে অনেকেই প্রকাশ্যে অভিষেকের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। চাঁচাছোলা ভাষায় কল্যাণকে আক্রমণও করেছেন কুণাল এবং অপরূপা। এমনকি কল্যাণ ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’, মুখ্য সচেতক পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে অপরূপা মন্তব্য করেছেন। আরও এক কদম এগিয়ে ‘শ্রীরামপুর নতুন সাংসদ চায়’ বলে ফেসবুকে দাবি তুলেছেন অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়।


এত কিছুর মধ্যেও কল্যাণ যদি শুরু থেকেই জানিয়ে আসছেন যে, তিনি এক জনকেই নেতা বলে মানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঊর্ধ্বে তাঁর কাছে কেউ নন। যত দিন মমতা রয়েছেন, তত দিন তিনি থাকবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়।


এমন পরিস্থিতিতে অর্জুনের দাবি, খুব শীগ্রই কল্যাণকে দল থেকে তাড়ানো হতে পারে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ‘‘দলের কল্যাণদের আর কদর নেই। উনি হতাশায় রয়েছেন। খুব শীঘ্র হয়ত দল থেকেও বার করে দেওয়া হতে পারে তাঁকে।’’