ঘোলা: উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিনারা করল পুলিশ। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে উত্তর কলকাতার মুক্তারামবাবু বাবু স্ট্রিট থেকে করণ সিং নামে আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ। এর আগে কৃষ্ণরাম সিং নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
দিনকয়েক আগে কুমোরটুলি থেকে উদ্ধার করা হয় ট্রলিতে ভর্তি দেহ। গ্রেফতার করা হয় মা ও মেয়েকে। আর এবার ঘটনাস্থল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। মৃতের নাম ভাগারাম সিং, রাজস্থানের পালির বাসিন্দা। বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন ভাগারাম এবং ধৃত কৃষ্ণরাম ও করণ। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জানিয়েছে, ব্যবসার কাজে ৮ লক্ষ টাকা নেন ভাগারাম। টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন ওই ব্যবসায়ী। সেই কারণেই খুন। জানা গিয়েছে, রাত নটা নাগাদ ঘোলার খেপলির বিল এলাকায় যাওয়ার জন্য নাগেরবাজার থেকে অ্যাপ ক্যাবে ওঠে দুজন। সঙ্গে ছিল আকাশি রঙের ট্রলি ব্যাগ। এত রাতে অন্ধকার জায়গায় ভারী ব্যাগ নিয়ে নামায় সন্দেহ হয় চালকের। তিনি দেখতে চাইলেও রাজি হয়নি অভিযুক্ত দুই যুবক। এমনকী অভিযুক্তরা ঘুষ দিতে চায় বলে দাবি ক্যাব চালকের। এরপরই ১০০ নম্বরে ডায়াল করতে যায় চালক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। অপর দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে অ্যাপ ক্যাব চালক। পরে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রলি ব্যাগে টেপ দিয়ে হাত-পা-মুখ বাঁধা দেহ ছিল। উদ্ধার করা হয় নগদ ৬৫ হাজার টাকা, রক্তমাখা প্লাস্টিক, ছুরি, নাইলনের দড়ি। উদ্ধার করা হয়েছে বস্তা ভর্তি কুর্তিও।
এদিকে কুমোরটুলির ঘটনায় পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, টাকাপয়সা, সোনাদানা, সম্পত্তির লোভেই পিসি শাশুড়িকে খুন করেছিলেন মধ্য়মগ্রামের মা-মেয়ে আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষ। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা, লেকটাউন ও অসমের জোড়হাটে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল সুমিতার। অগাধ সম্পত্তির মালিক ছিলেন তিনি। লেকটাউনে বাড়ি ছিল সুমিতার। এই সব কিছুর লোভেই মহিলাকে খুনের ছক কষে মধ্য়মগ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত মা-মেয়ে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ধৃত মা-মেয়ে স্বীকার করেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়ালে পিসি শাশুড়ি সুমিতার মাথা ঠুকে দিয়েছিলেন ফাল্গুনী। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃতরা জানিয়েছেন, দেহ ট্রলিব্যাগে ভরার আগে, সুমিতার শরীরে থাকা সমস্ত মূল্য়বান গয়না খুলে ফেলেন মা-মেয়ে। মধ্য়মগ্রাম স্টেশন রোডের সোনার দোকানে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকায় গয়না বিক্রি করে দেন তাঁরা। বিনিময়ে কিছু নতুন সোনার গয়না নেন। বাকি ৩২ হাজার টাকা নগদ নিয়ে আসেন।