কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর এবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের (Kalyanmoy Gangopadhyay) জামিন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সিবিআই মামলায় জামিন পেয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। অর্থাৎ, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিন্হার পর জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।

Continues below advertisement

এ বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "পার্থবাবু যিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তিনি জামিন পেয়েছেন। তারপরে তাঁর অফিসাররা জামিন পাবেন এটাই স্বাভাবিক। তার কারণ, তদন্তকারী সংস্থা এই বিষয়টি, তদন্ত প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত করছে। এখনও পর্যন্ত ট্রায়াল সম্পন্ন করা যায়নি। এই তদন্ত-প্রক্রিয়া যত দীর্ঘায়িত হবে, তত বেশি যারা অভিযুক্ত...আমি তো তাঁদের অপরাধীই বলব...কোর্ট এখনও ডিক্লেয়ার করেনি, কিন্তু  তাঁদের অপকর্মের জন্য ২৬ হাজার ছেলে-মেয়ের যাদের সার্ভিস টার্মিনেট হয়ে গেছে। এই অপকর্মের দায়ী তো  কেউ হবেই । দায় তো কাউকে নিতে হবে। যারা দায়ী, তাঁদের দায় নেওয়া উচিত। তাঁদের একটার পর একটা জেলমুক্তি ঘটছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। একটার পর একটা জেলমুক্তি হচ্ছে। এটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থার অকর্মণ্যতা।"  

রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলছেন, "জামিন তো কেউ পেতেই পারেন। জামিন পাওয়া মানে তো অপরাধ থেকে মুক্তি পাওয়া নয়। একটা প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের জ্ঞাতার্থে-অনুমোদনে-অনুপ্রেরণায় এই প্রাতিষ্ঠানিক লুঠকে সংগঠিত করা হয়েছিল। তাই, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জামিন পেলেন কি পেলেন না, এনিয়ে রাজ্যবাসীর কোনও উৎসাহ নেই। মানুষ সূত্রে পৌঁছাতে চাইছে। মানুষ বড় মাছের খোঁজ করছে। এই লুঠে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত গোটা তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত আছে। মেধাকে প্রতারিত করে, কার্যত স্কুল শিক্ষকদের চাকরি খোলাবাজারে নিয়ে এসে স্কুল শিক্ষাকে পশ্চিমবঙ্গে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষ এটার শেষ দেখতে চাইছে।" আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর কথায়, "জামিন পাওয়াটা একটা স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া। জামিন পাবেন, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু, নির্ভর করছে তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতার উপরে যে কত তাড়াতাড়ি ট্রায়ালটা হবে।"

Continues below advertisement

হাজার হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর নিজাম প্য়ালেসে ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। প্রায় এক বছর আড়াই মাসের মাথায়, SSC-র গ্রুপ সি মামলায় তাঁকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট।