কলকাতা: কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly) আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি নন। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Recruitment Scam) অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই অপসারিত কল্যাণময়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হলেন রামানুজ গঙ্গোপাধ্যা (Ramanuj Ganguly)। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালনায় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হল বৃহস্পতিবার। বারাসাত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রামানুজ।


মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে অপসারিত কল্যাণময়


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম ওঠার পর থেকেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদে (West Bengal Board of Secondary Education) কল্যাণময়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তাঁর মেয়াদ বর্ধিত করা হবে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল।  বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অন্য কাউকে নিয়োগ করা হতে পারে  বলে চলছিল চর্চা। বৃহস্পতিবার তাতেই সিলমোহর পড়ল। অপসারিত হলেন কল্যাণময়।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত কয়েক মাসে লাগাতার আদালতের প্রশ্নের মুখে জেরবার হতে হয়েছে রাজ্যকে। বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার তালিকায় স্বয়ং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নাম উঠে এসেছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্বতন্ত্র সংস্থা, তাদের কাজকর্মে রাজ্যের তেমন ভূমিকা নেই বলবে সরকারে তরফে সাফাই দেওয়া হলেও, রাজ্যের ভাবমূর্তি আহত হচ্ছিল তাতে। 


আরও পড়ুন: SSC Scam: 'মনে হয় না, নম্বর দিতে বৈষম্য করেছেন? ' হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ


এমন পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর জেরার মুখে পড়েন কল্যাণময়ও। বাড়ি থেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে এনে তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁর অফিসে ঢুকে চালানো হয় তল্লাশিও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কর্মীদেরও। 


কল্যাণময়ের জায়গায় পর্ষদের দায়িত্বে রামানুজ


সিবিআই সূত্রে জানা যায়, একাধিক বার কল্যাণময়কে ফোন করে পর্ষদের আসতে বললেও, সে কথা কানে তোলেননি তিনি।  তাতেই বাড়ি বয়ে গিয়ে তাঁকে পর্ষদে আতে হয় গোয়েন্দাদের।  তার পর প্রায় ১০ ঘণ্টা টানা জেরা করা হয় কল্যাণময়কে। তাঁর দফতর থেকে একাধিক নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।