হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মকর সংক্রান্তি (Makar Sankranti) উপলক্ষ্যে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar) পুণ্যস্নান করলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। পুণ্য অর্জনের লক্ষ্যে সাগরসঙ্গমে দেখা মিলল রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা (National Fair) করার দাবি তুললেন কপিল মুনির আশ্রমের (Kapil Muni Ashram) প্রধান পুরোহিত।                                                       

  


মকর সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে মহামানবের সাগরতীরে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ডুব। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় উধাও শীতের কামড়। আর তার মধ্যেই সূর্যোদয়ের সময় থেকে পুজো অর্চনা, আরতি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে মকরসংক্রান্তির পুণ্যস্নানে জমজমাট সাগরতীর।                              


কথায় বলে, সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। সাগর মেলাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণার দাবি আগেই তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার একই সুর শোনা গেল কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিতের কণ্ঠেও। জ্ঞানদাস মোহান্ত বলেন, 'রাজ্য সরকার ভাল ব্যবস্থা করেছে। মোদির কাছে আবেদন এই মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হোক।' প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত গঙ্গাসাগরে ৫১ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন।                                               


আরও পড়ুন, হারলে কাটা যায় ঝুঁটি, সংক্রান্তিতে ঐতিহ্যবাহী বুলবুল পাখির লড়াই জঙ্গলমহলে!


ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরে জনজোয়ারছিল। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন সাগর সঙ্গমে। চলে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছিল গতকাল সন্ধে ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে। আজ সন্ধে ৬টা ৫৩ পর্যন্ত ছিল। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে অংশ নিতে দেশ-বিদেশ থেকে পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা এসেছেন। টহলও দেয় পুলিশ। মেলা চত্বরে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চালানো হয় নজরদারি। NDRF, SDRF ছাড়াও মোতায়েন ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী। স্পিড বোটের পাশাপাশি, ড্রোন উড়িয়ে নজরদারিও চলে।                                                                          


অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে গতকালের মতো আজও সাগরের কচুবেড়িয়া লট এইট থেকে বন্ধ ছিল লঞ্চ ও ভেসেল পরিষেবা। কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত বাস চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছিল। 


.