কলকাতা: এবারের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) শান্তিপূর্ণ হবে তো? নাকি পাঁচ বছর আগের হিংসার পুনরাবৃত্তি হবে? সময় যত এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক ময়দানে বাড়ছে বাক্য বিনিময়ের উত্তাপ। এবার কেষ্টপুরের সভা থেকে ফের বেলাগাম দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মুখে যেন নিদান। তিনি বলেন, 'ব্যালট বাক্সর পাশাপাশি বিশৃঙ্খলাকারীদেরও জলে ফেলুন'।
এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। দিলীপের কথায়, "কেউ গন্ডগোল করতে এলে তাদেরও খালে ফেলুন। পুলিশ এলে পুলিশকে জলে চুবিয়ে তারপর ছাড়বেন'। এরপরই হুমকি দিলীপের। তিনি বলেন, 'এদেরকে কাদায় চোবানো ছাড়া আর কোনও শাস্তি হতে পারে না'।
পাশাপাশি জেলায় জেলায় দিদির দূত কর্মসূচিতে বিক্ষোভ ও মন্ত্রীর সামনে অভিযোগকারীকে চড়কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'দিদির দূতরা যেখানে যাচ্ছেন, বকাঝকা খাচ্ছেন। মন্ত্রীর সামনে অভিযোগকারীকে পেটাচ্ছে, এরা সব গুন্ডা, সমাজবিরোধী। এরাই এখন তৃণমূলকে চালাচ্ছে।'
আরও পড়ুন, আগুন ধরতেই দম আটকে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় ৭২ যাত্রী! নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু
এই নিয়ে পাল্টা দিতে ছাড়েননি কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার কথায়, 'উস্কানি দিয়ে বাজার গরম করার চেষ্টা। যে যত বাজে কথা বলতে পারবেন সে তত বড় নেতা হবেন দলে। এই তো চলছে।"
তবে শুধু দিলীপ ঘোষ নন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বেলাগাম লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। হুগলির বিজেপি সাংসদ হুঙ্কার দেন, 'কথা শুনতে না চাইলে ঘরের মধ্যে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। চড় মারলে আপনারাও ছাড়বেন না, ধরে চার-পাঁচটা আপনারাও দিন। চড় দেওয়ার দরকার আছে, টাকা লুট করবে আবার চড়ও মারবে। আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পড় মারতাম। কেউ ভয় পাবেন না, সবাই এগিয়ে চলুন।'