ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: সল্টলেকের করুণাময়ীতে (Karunamoyee) টেট (TET) উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের আজ চতুর্থ দিন। অনশনের ৪৭ ঘণ্টা, ধর্নার ৬৮ ঘণ্টা পার। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। গত দু’ দিনে অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, পদ্ধতি মেনে আবেদন ও ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা দু’-দু’বার ইন্টারভিউ দিয়েছেন, ফের ইন্টারভিউ দিতে নারাজ।
কী পরিস্থিতি
রাতভর কেউ বসে, আবার কেউ শুয়ে কাটাচ্ছেন রাজপথে। সল্টলেকের করুণাময়ীর সামনে চলছে অবস্থান। চোখে ঘুম নেই। রয়েছে স্বপ্ন ভঙ্গের আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কাকে কোনভাবেই সত্যি না হতে দেওয়ার জেদ নিয়ে এবং নিয়োগের দাবিতে এখনও আমরণ অনশনে ২০১৪’র TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন, ধনতেরাসের আগে ২ দিন ব্যবসা করতে দিন, আর্জি ব্যবসায়ীদের
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য
TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী রণজিৎ রায় বলেন, "বাবা দিন মজুর, স্কুলে পড়ার সময় থেকেই শিক্ষকদের দেখে আমার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন, ছোটবেলা থেকে দেখা সেই স্বপ্ন বাস্তবের কাছে হারিয়ে গেছে, দুর্নীতি আমাদের স্বপ্নকে গলা টিপে মেরেছে।" এরকমই আরেকজন পীযূষ চট্টোপাধ্যায়। স্বপ্নেও ভাবেননি, শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পুরণ করতে এভাবে রাস্তায় রাত কাটাতে হবে। তাঁর কথায়, "যারা অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছে তারা স্কুলে যাচ্ছে এবং খাট পালঙ্কে শুয়ে আছে আর আমাদের ভবিতব্য রাস্তায়, আমরা যদি ডেঙ্গি হয়ে মরে যাই তাহলে কোন সমস্যা নেই।"
একে তো খাওয়া-দাওয়া নেই! তার মধ্যেই পালা করে রাত জাগছেন আন্দোলনকারীরা। TET উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থী মৌমিতা ঘোষ বলেন, " পুলিশ কি করে তাই জন্য জেগে থাকতে হচ্ছে পালা করে, কার কি সুবিধা অসুবিধা তাই দেখার জন্য রাত জাগছি। রাত জাগা, ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ভয় কোন কষ্ট না; কষ্ট হচ্ছে বেকারত্বের।"