নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে হামলার পর পাল্টা অ্যাকশনে ভারত। ইতিমধ্যেই গুজরাতে পৌঁছে গিয়েছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে ফের হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় একজন নেপালি-সহ ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এদিন আসামের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে, কাশ্মীর ইস্যুতে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ বলেন, ' নরেন্দ্র মোদি সরকারের নের্তৃত্বে পহেলগাঁওয়ে হামলাকারীদের বেছে বেছে জবাব দেওয়া হবে। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে উপড়ে ফেলা হবে সন্ত্রাসবাদ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। পুরো বিশ্ব ভারতের পাশে আছে। কাপুরুষের মতো হামলা, কাউকে ছাড়ব না, হুঙ্কার অমিত শাহের।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন , সন্ত্রাসবাদীরা যেনও না ভেবে নেয়, তারা যুদ্ধ জিতে গিয়েছে। লড়াই এখনও শেষ হয়নি।' শাহর ভাষায়,' চুন চুনকে বদলা লেঙ্গে।' অর্থাৎ কেউ ছাড়া পাবে না, দেশবাসীর কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। দেশের সকল অংশ থেকে এবার সন্ত্রাসবাদের শিকড় চিরকালের মতো উপড়ে ফেলা হবে বলেই স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল হামলার পর ওই দিনই শ্রীনগরে পৌঁছেছিলেন অমিত শাহ। পরেরদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। মৃতদেহের উপর ফুলের স্তবক সাজিয়ে রেখে সম্মান জানান। পাশাপাশি যেখানে হামলা চলেছিল, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সেই জায়গা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উনিশের পুলওয়ামা হামলার পর, ভয়াবহ আক্রমণগুলির মধ্যেই অন্যতম পহেলগাঁওয়ে এই জঙ্গি হামলা। তবে কাশ্মীরের এই হামলা বোধহয় সব সীমা পার করেছে। বিশেষত বেছে বেছে হিন্দুদের খুনের এমন ঘটনা নৃশংসতম বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে। পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনা ২০১৯ সালে পুলওয়ামার পর, ভূস্বর্গের বুকে সবথেকে বড় জঙ্গি হামলা। এই ভয়াবহ ঘটনার রেশ ধরেই ফিরে এসেছে উরি, পুলওয়ামার স্মৃতি। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, পুলওয়ামায় CRPF জওয়ানদের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ হারান ৪০ জন জওয়ান। এরপরই ২৬ ফেব্রুয়ারি, বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ধ্বংস করে দেওয়া হয় পুলওয়ামায় হামলাকারী জইশ-ই-মহম্মদের কন্ট্রোল রুম, আলফা থ্রি।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরের আলো ফোটার আগেই উরির সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অতর্কিত হামলায় মারা যান ১৯ জন জওয়ান। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন বিহার এবং ৪ জন ডোগরা রেজিমেন্টের ছিলেন। এই হামলার পিছনেও ছিল পাক মদতপুষ্ট জঈশের হাত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে জঙ্গিদের লঞ্চ প্য়াড ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা।