ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ট্রেনের কামরায় বিশেষভাবে সক্ষম তবলা বাদকের খুন ঘিরে রহস্য ঘনীভূত। হাওড়া স্টেশনে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরা থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। খোয়া গেছে নিহতর ক্যামেরা, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে লুঠের উদ্দেশ্যেই কি খুন? যৌথ তদন্তে সিআইডি, হাওড়া জিআরপি। ট্রেনের কামরা পরীক্ষা করতে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল। এদিকে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে যাত্রী খুনের প্রতিবাদে হাওড়া স্টেশনের বাইরে ডি আর এম বিল্ডিং এর কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ দেখায়। 


মৃতের নামে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (৬১)। বিশেষভাবে সক্ষম ওই ব্যক্তি পেশায় ছিলেন তবলা বাদক। বাড়ি হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দা ঘোষপাড়ায়। পরিবারের দাবি, প্রায়ই বিহারের কাটিহারে যেতেন তিনি।  কাটিহার রামকৃষ্ণ মিশনে ১২ বছর তবলার শিক্ষক ছিলেন। সোমবার ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসে ওঠেন বাড়ি ফেরার জন্য। মঙ্গলবার ট্রেন হাওড়ায় পৌঁছলে কামরা থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, "ব্যাগে ছিল এটিএম কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাস বই। কারও সঙ্গে কোনওদিন কোনও ঝামেলা অশান্তি ছিল না। কাটিহারে জন্ম। ওখানেই সব কিছু। প্রত্যেক মাসে যখনই আসে বলে যে জিআরপি থাকে। সেদিন ছিল কিনা তো বলতে পারব না। যদি থাকত পুলিশ তাহলে তো নৃশংস হত্য়াটা হত না।''


ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। বিশেষভাবে সক্ষম ও বয়স্ক ওই ব্যক্তির লোয়ার বার্থেই যাতায়াত করার কথা, তিনি কেন আপার বার্থে গেলেন? তাহলে কি অন্য কোথাও খুন করে ওই বার্থে তুলে দেওয়া হয়েছে? কামরার মধ্যে খুন হলেও কেউ কিছু জানতে পারল না কেন? ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া GRP. তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সব সময় ওই ট্রেনের শেষ কামরায় যাতায়াত করতেন তবলা বাদক। এই প্রেক্ষিতে তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন -  আততায়ী কোন স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন? তিনি কি মৃতের পূর্বপরিচিত ছিলেন? তিনি কি জানতেন, ওই ট্রেনের শেষ কামরায় যাতায়াত করেন শিল্পী?


 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: Potato Export Stop: আলুর দামে আগুন, এবার রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত