কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: উপাচার্য (Vice Chancelor) বনাম রেজিস্ট্রার (Registrar) সংঘাতে সরগরম আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় (Kazi Nazrul University)। ডিসচার্জ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে। ডিসচার্জ হওয়ার কথা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে জানতে পারেন বলে দাবি রেজিস্ট্রারের। উপাচার্যের দাবি, 'কর্মবিরতির দিন সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করেছেন রেজিস্ট্রার। অর্থ দফতরের নির্দেশিকা সত্ত্বেও অনুপস্থিত কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দিয়েছেন। সেই কারণেই ডিসচার্জ করা হয়েছে রেজিস্ট্রারকে।' পাল্টা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ এনেছেন রেজিস্ট্রার। এদিন রেজিস্ট্রারের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীদের একাংশ। 


উপাচার্য বনাম রেজিস্ট্রার সংঘাত। তা নিয়ে উত্তপ্ত আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার মঙ্গলবার কাজে যোগ দিতে গেলে এক কর্মী তাঁকে বাধা দেন। জানানো হয়, উপাচার্য তাঁকে ডিসচার্জ করেছেন। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের একাংশ প্রতিবাদে সোচ্চার হন। রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে তাঁর অফিসঘরে পৌঁছে দেন তাঁরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে জড়ো হয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।


রেজিস্ট্রারের অভিযোগ, আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গাছ কাটিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। ক্যাম্পাসের বাইরে নিজের বাড়ি কেনার জন্য টাকা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে। এমনকি রেজিস্ট্রারের অফিসের শৌচালয়ে কোনও কাজ না হওয়া সত্ত্বেও, সংস্কারের নামে ২ লক্ষ টাকা ভুয়ো বিল দেখানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারের অভিযোগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়াতেই তাঁকে ডিসচার্জ করেছেন উপাচার্য। কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মাধ্যক্ষ চন্দন কোনার বলেন,  “এখানে কাজে যোগ দেবার পর থেকেই উপাচার্য মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন। আর্থিক নয়ছয় করেছেন প্রচুর। দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় আমার সঙ্গে এমন আচরণ।’’

দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে রেজিস্ট্রারকে পাল্টা দুষেছেন উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। উপাচার্যের বক্তব্য, রেজিস্ট্রারকে ডিসচার্জ করতে বাধ্য হয়েছি। তিনি DA-র দাবিতে ২ দিনের কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটে রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা উপেক্ষা করেছেন। শিক্ষকদের উপস্থিতি ও ছুটি নেওয়া সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিচ্ছেন না। তার জেরে ২৪ মার্চের মধ্যে অর্থ দফতরে রিপোর্ট পাঠানো অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Purulia News: আজ শুরু হল উচ্চমাধ্যমিক, পরীক্ষার্থীদের ফুল, কলম বিতরণ ঘিরে বিতর্ক পুরুলিয়ায়