বিশ্বজিৎ দাস, খড়গপুর: এক সপ্তাহের মধ্যে খড়গপুরে বিজেপিতে ফের ভাঙন। দিলীপ ঘোষ শহরে থাকাকালীনই এবার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি। গতকাল খড়গপুর শহরে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
বিজেপিত্যাগী নেতার দাবি, বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের মধ্যে তালমিল না থাকায়, নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বিজেপি ত্যাগ, দাবি তৃণমূলে যোগদানকারী নেতার। দিলীপ ঘোষ খড়গপুর এলেই বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে। নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করে লাভ নেই, কটাক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এর আগে ১৯ জানুয়ারি, খড়গপুরে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক।
এদিন, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খড়গপুরের ওয়ালিপুর এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে পিকনিক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । ধরলেন মাছ!!
পিকনিকের ফাঁকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও সারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানেই, শান্তনু ঠাকুরদের পিকনিক করা নিয়ে পাশে দাঁড়ান দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন , ' জানি না কে বিদ্রোহী কে কী। সবাই পার্টির লোক পার্টিতেই আছেন। একসঙ্গে যে কেউ পিকনিক করতে পারে। আমরা শীতের সময় সব জায়গায় কার্যকর্তাদের নিয়ে পিকনিক করি। কে কীভাবে দেখছেন জানি না। কার্যকর্তারা এক জায়গায় মিলিত হয়ে পিকনিক করলে সেখানে কিছু দোষ দেখি না আমি।'
সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিগত সাত বছরে খড়্গপুরে কোনও উন্নয়ন হয়নি দাবি করে হিরণ বলেন, ‘‘খড়্গপুর আজ শ্মশানে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে রোগী গেলে তিনি আর বেঁচে ফেরেন না। সাত বছর আগে খড়্গপুরের মানুষ খুব ভুল করেছেন।’’ প্রাক্তন বিধায়ককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীও দিয়েছেন পুরসভাকে। কিন্তু উনি সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই টাকা দিয়ে নিজের বাড়ি বানিয়েছেন। সব টাকা উদ্ধার করব।’’