কলকাতা: খড়গপুর আইআইটিতে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় CBI চান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। খড়গপুর আইআইটিতে ফৈজন আহমেদের রহস্যমৃত্যু ঘিরে সন্দেহের মেঘ। আইআইটির হস্টেলে তৃতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ফৈজানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবার CBI তদন্ত চেয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
'দ্বিতীয় অটোপসিতে দেহে গুলির চিহ্ন, গলায় কোপানোর ক্ষত', স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ CBI-এর হাতে তদন্তভার দিন, আবেদন হিমন্ত বিশ্বশর্মার। CID তদন্ত বা SIT গঠনের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ মৃতের পরিবার। আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত, রুজু হয় খুনের মামলা। 'আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফৈজানকে', সন্দেহ অসমের মুখ্যমন্ত্রী, মমতার কাছে CBI তদন্তের আবেদন।
আত্মহত্যা নয়, খুন। এক কানের নীচে অস্ত্রের আঘাত, আরেক কানের নীচে গর্ত। ২০২২-এ খড়গপুরে আইআইটি ছাত্রের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত। ২০২২-এর অক্টোবর মাসে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় খড়গপুর IIT-র মেধাবী ছাত্র ফয়জান আহমেদের।তার প্রায় দেড়বছরের মাথায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল IIT-র সর্বভারতীয় পরীক্ষায় একাদশ স্থানাধিকারী ফয়জানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। ফয়জান আহমেদকে খুন করা হয়েছে বলে রিপোর্টে জানালেন বর্ষীয়ান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত।
২০২২ -এর ১১ অক্টোবর থেকে খড়গপুর IIT-র তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফয়জান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই তাঁর রুমমেট ঘরে ছিলেন না। ৩ দিন পর, ১৪ অক্টোবর সেই রুমমেট ফিরে ঘরের দরজা খোলেন। তখনই দেখা যায় ঘরের ভিতরে পড়ে রয়েছে ফয়জানের মৃতদেহ। রহস্য়জনকভাবে দেহে পচন ধরলেও কোনও দুর্গন্ধ বেরোয়নি। প্রথম ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কার্যত আত্মহত্যার তত্ত্ব উঠে এলেও ,খুন করা হয়েছে মেধাবী ফয়জানকে, এই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করে নিহত পড়ুয়ার পরিবার।যার প্রেক্ষিতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্তকে তার মতামত দিতে বলে আদালত।
আরও পড়ুন, রেলবোর্ডের কথায় 'মৃত', মালগাড়ির সহকারি চালক এখনও জীবিত
ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে বর্ষীয়ান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত জানান, প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও পুলিশের দেওয়া ভিডিওতে ফাঁক রয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অসমের কবর থেকে মৃতদেহ তুলে এনে কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের পুলিশ মর্গে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়। এরপর ১৪ জুন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে IPS অফিসার কে জয়রামনের নেতৃত্বে SIT গঠিত হয়।অজয়কুমার গুপ্তর পরামর্শে রাজ্যের পরিবর্তে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবে নমুনা পাঠানো হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।