সৌভিক মজুমদার, বিটন চক্রবর্তী, ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা : ময়নাতদন্তের ২টো রিপোর্ট। প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যু। দ্বিতীয় রিপোর্টে লেখা, দেহে আঘাতের কথা! ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফারাক, প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট , দ্বিতীয় রিপোর্টে লেখা, দেহে আঘাতের কথা!ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফারাক,খেজুরির ২ বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট জমা পড়তেই বিরক্তি প্রকাশ বিচারপতির।
খেজুরির ২ বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট। রিপোর্ট দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ ছিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ বিজেপি কর্মীর। কিন্তু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে দেহে আঘাতের কথা। ময়নাতদন্তের ২টো রিপোর্ট। প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যু। দ্বিতীয় রিপোর্টে লেখা, দেহে আঘাতের কথা!খেজুরির ২ বিজেপি কর্মী সুজিত দাস এবং সুধীর পাইকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট। আর তাতেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, এই মামলা নিয়ে আমি খুব বিরক্ত। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
এখন দ্বিতীয় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে! জেলার মেডিক্যাল কলেজের রিপোর্টের সঙ্গে SSKM-এর রিপোর্টের পার্থক্য আছে। এরকম কেন হবে? ১২ জুলাই, খেজুরির ভাঙনমারিতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিত দাস ও পঞ্চাশোর্ধ্ব সুধীরচন্দ্র পাইকের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ দাবি করে, অনুষ্ঠান চলাকালীন অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু'জনের। যদিও, মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তোলে। নিহত সুধীরচন্দ্র পাইকের ছেলে নন্দনকুমার পাইক বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে এটা মার্ডার। এই খানে দাগ, এই খানে দাগ, এই খানে দাগ, সেগুলো দেখুক।
মঙ্গলবার সেই ঘটনার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আরও বলেন, জেলার ফরেন্সিক আধিকারিকরা কি অভিজ্ঞ নন? নাকি তাদের স্থানীয় ব্যক্তিদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে? তদন্তকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, তদন্তকারী সংস্থায় পরিবর্তন করতে হবে। উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিযুক্ত করতে হবে। আগে আপনারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে ধরে নিয়ে তদন্ত করছিলেন। এখন তো খুনের ধারায় মামলা হবে। পুরো তদন্তের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে। প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর আগে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই মামলার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে যায় মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার। যার প্রেক্ষিতে এসএসকেএম-এর ৩ জন চিকিৎসককে নিয়ে বোর্ডও গঠন করে দেওয়া হয়।এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, আপনারা চাইলে তৃতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানাতে পারেন।আমার সে আর্জি মঞ্জুর করতে আপত্তি নেই।'বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।