মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: চব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় একের পর এক চমক দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় নজরকাড়া নাম ছিল কীর্তি আজাদ। বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যেই নানা মন্তব্যে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন তিনি। তবে এবার প্রচারে এই বেনজির কাজ করলেন তিনি। 


বিরল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত স্ত্রীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে এদিন জনতার দরবারে এলেন কীর্তি আজাদ। হুইল চেয়ারের হাতল ধরে, স্ত্রী পুনম আজাদ দারভাঙায় বাড়ি, আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করতে এসেছেন বলতে বলতে এলাকা ঘুরলেন। হুইল চেয়ারে বসে স্ত্রীও হাত জোড় করে এলাকার মানুষদের সাথে পরিচয় করেন। তিনিও খুব খুশি, এমনটাই জানিয়েছেন। 


এদিকে, কীর্তি আজাদের অসুস্থ স্ত্রীকে দেখে আবেগে ভাসে দুর্গাপুরের হোস্টেল এভিনিউএর মহিলারা। বিশ্বকাপ জয়ী কীর্তি আজাদ রাজনীতিতে নেমেছেন অনেকদিন আগেই। দুবারের সাংসদ একবারের বিধায়ক হয়েছেন। এবারে আবার সাংসদ হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। বিরল স্নায়ু রোগে আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়েও মাঠে ঘুরছেন তিনি। মানুষের মনে আস্থা জাগিয়ে মাঠ দখল করতে মরিয়া বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ।


অন্যদিকে, দুর্গাপুরে প্রচারে গিয়ে দলের দুই নেতার কীর্তিতে কার্যত মাথায় হাত কীর্তি আজাদের। প্রার্থীর সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র দুই নেতা। দুর্গাপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমড়াই গ্রামের ঘটনা। এদিন ওই এলাকায় প্রচারে যান বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। কে আগে প্রার্থীকে সম্বর্ধনা দেবে, কে তাঁকে গ্রামে ঘোরাবে, তা নিয়ে INTTUC-র দুই নেতা শেখ আজিমউদ্দিন ও আমিনুর রহমানের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। কর্মীদের অতি উৎসাহেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, অস্বস্তি ঢাকতে সাফাই তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের।


নেতাদের কীর্তিতে হতভম্ব তৃণমূল প্রার্থীকে পাশেই একটি মন্দিরের সিঁড়িতে কার্যত মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও পরে কোন্দল ঢাকতে অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন কীর্তি আজাদ। তিনি বলেন, সবাই সম্বর্ধনা দিতে চায়। কেউ আগে দিতে চায়, কেউ পরে, কোনও লড়াই, ঝগড়া, ঝঞ্ঝাট হয়নি। এটা অতিরিক্ত উৎসাহ, প্রেম, দিদিকে সম্মান দেখাতে প্রত্যেকেই আগে সম্বর্ধনা দিতে চাইছিল।


এর আগে দুর্গাপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে যান কীর্তি। সেখানে ত্রিমূর্তি মন্দিরে পুজো দিয়ে মহিলাদের কাছ থেকে রাখি পরেন তৃণমূল প্রার্থী।